শনিবার, ২৫ অক্টোবর ২০২৫, ১২:৩৮ পূর্বাহ্ন
ব্রেকিংনিউজ-
ইসকন ‘ভারতের র’র কর্মকাণ্ডে জড়িত’: অভিযোগ সিএইচটি সম্প্রীতি জোটের বিশ্বের সবচেয়ে সুন্দর স্টেডিয়ামের তালিকায় সিলেট আন্তর্জাতিক ক্রিকেট স্টেডিয়াম বিএনপি-জামায়াতের চোখে বিতর্কিত অন্তর্বর্তী সরকার উপদেষ্টারা গাজীপুরে নিখোঁজ ইমাম মুফতি মুহিব্বুল্লাহ মাদানী পরিবারের হাতে ফিরেছেন কর্যক্রম নিষিদ্ধ আ’লীগকে নির্বাচনে নিতে বিদেশি চাপ বারছে: প্রেস সচিব ভোটকেন্দ্রে ‘প্রথম প্রতিরক্ষা স্তর’ হবেন ৬ লাখ আনসার সদস্য: ডিজি সাজ্জাদ মানবতাবিরোধী মামলার ১৫ সেনা কর্মকর্তা কারাগারে: প্রথম দিন কেমন কাটল দাঁড়িয়ে থাকা বাসের পেছনে ট্রাকের ধাক্কায় নিহত ২, আহত ৫ যে আসনে বিজয়ী প্রার্থীর দল সরকার গঠন করে: সিলেট-১ আসনে উত্তাপ বাড়ছে টি-টোয়েন্টি সিরিজের আগে চোটে জর্জরিত দক্ষিণ আফ্রিকা
Headline
Wellcome to our website...
নওগাঁয় গাছে-গাছে মুকুলের আধিক্য, চাষীদের মুখে তৃপ্তির হাসি
প্রকাশ কাল | মঙ্গলবার, ১৮ ফেব্রুয়ারী, ২০২৫, ৮:১০ অপরাহ্ন

উত্তরের সীমান্তবর্তী জেলা নওগাঁ আমের নতুন রাজধানী হিসেবে পরিচিতি লাভ করেছে। আম উৎপাদনকারী জেলা নওগাঁয় গত কয়েক বছরের মধ্যে এবার আমের মুকুল সবচেয়ে বেশি এসেছে। মুকুলের ম-ম ঘ্রাণ এখন জেলার বাতাসে। আমের মুকুলের সমারোহ দেখে ভালো ফলনের আশা করছেন আম চাষিরা।

স্থানীয় কৃষিবিদরা বলছেন, এখন পর্যন্ত আবহাওয়া আম চাষের অনুকূলে রয়েছে। কোনো প্রাকৃতিক দুর্যোগ না হলে এ বছর আমের বাম্পার ফলন হবে। এবার গত বছরের চেয়ে ২০০ হেক্টর জমিতে আমের বাগান বেড়েছে। আশা করা হচ্ছে, গত বছরের চেয়ে এবার ২৫ হাজার মেট্রিক টন ফলন বাড়তে পারে।

অন্যদিকে আম চাষিরা বলছেন, প্রকৃতির নিয়ম অনুযায়ী এক মৌসুমে ভালো ফলন হলে পরের বার আমের ফলন কম হয়। সে হিসেবে গত বছর নওগাঁয় আমের ফলন কম হওয়ায় এবার তারা আমের বাম্পার ফলনের আশায় বুক বেঁধে আছেন। বাগানে প্রায় সব গাছেই মুকুল এসেছে। ঘন কুয়াশা থাকলেও শীতের তীব্রতা কম হওয়ায় মুকুলের তেমন ক্ষতি হওয়ার আশঙ্কা নেই। তারপরেও কুয়াশার কারণে মুকুলকে ছত্রাকের আক্রমণ থেকে বাঁচাতে ছত্রাকনাশক কীটনাশক স্প্রে করছেন তাঁরা। ক্ষেত্র বিশেষে ছিটানো হচ্ছে পানি। আম গাছের গোড়াতেও পানি দিচ্ছেন চাষিরা।

এদিকে বাগানে মুকুল আসা শুরু করতেই মৌসুমি বাগান ব্যবসায়ী ও ফড়িয়ারা মাঠে নেমে পড়েছে। তারা মুকুল দেখে বাগান কেনার জন্য মালিকদের কাছে যাচ্ছেন। তবে এখনো বাগান কেনাবেচা জমে উঠেনি। মুকুলে গুটি হওয়ার পর বাগান কেনাবেচা জমে উঠবে।

নওগাঁ কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর সূত্রে জানা গেছে, চলতি মৌসুমে এ জেলায় ৩০ হাজার ৫০০ হেক্টর জমির বাগানে আম চাষ করা হয়েছে। গত বছর এই পরিমাণ ছিল ৩০ হাজার ৩০০ হেক্টর। গত বছর আমের উৎপাদনের লক্ষ্যমাত্রা ছিল ৪ লাখ ৩১ হাজার মেট্রিক টন। উৎপাদন হয়েছিল ৪ লাখ ২৫ হাজার মেট্রিক টন। এবার ৪ লাখ ৫০ হাজার মেট্রিক টন আম উৎপাদনের আশা করা হচ্ছে।

নওগাঁর সাপাহার ও পোরশা উপজেলায় সবচেয়ে বেশি আম চাষ হয়। এই দুই উপজেলাতেই প্রায় ২০ হাজার হেক্টর জমির বাগানে এবার আম চাষ হয়েছে। গত শনিবার ও রবিবার সাপাহার ও পোরশা উপজেলার বেশ কিছু এলাকা ঘুরে দেখা গেছে, বাগানগুলোতে অধিকাংশ গাছেই ব্যাপক মুকুল এসেছে। মুকুলে আম গাছের পাতা ঢেকে গেছে। কোনো কোনো বাগানে শতভাগ গাছে মুকুল এসেছে। আবার কোনো কোনো ৭০ থেকে ৮০ শতাংশ গাছে মুকুল এসেছে।

কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর খামার বাড়ি নওগাঁর উপ-পরিচালক আবুল কালাম আজাদ বলেন, ‘সাধারণত ধরা হয় দীর্ঘস্থায়ীভাবে তাপমাত্রা ১৫ ডিগ্রি সেলসিয়াসের নিচে থাকলে আমের মুকুল ধরতে চায় না। তবে এবার জানুয়ারি মাসে দুই-এক দিন করে শৈত্যপ্রবাহ থাকলেও দীর্ঘস্থায়ী শৈত্যপ্রবাহ ছিল না। গড় তাপমাত্রা প্রায় ২০ ডিগ্রির কাছাকাছি ছিল। এই তাপমাত্রা আমের জন্য অনুকূল। তবে কয়েক দিন ধরে দেখা যাচ্ছে কুয়াশা থাকছে। তবে তাপমাত্রা স্বাভাবিক রয়েছে। কুয়াশার কারণে মুকুলে ছত্রাকের আক্রমণ হওয়ার আশঙ্কা থাকে। এজন্য আমরা আমচাষিদের ছত্রাকনাশক স্প্রে করার পরামর্শ দিচ্ছি।

এই পাতার আরো খবর
Our Like Page