
রমজানের শেষ দশকে মহানবী (সা.) বিশেষ কিছু ইবাদত ও আমল করতেন, যা আমাদের জন্য অনুকরণীয়। তাঁর গুরুত্বপূর্ণ আমলগুলোর মধ্যে উল্লেখযোগ্য কিছু হলো:
১. ইতিকাফ করা
রাসূল (সা.) রমজানের শেষ দশ দিন মসজিদে ইতিকাফ করতেন।
একাগ্রচিত্তে আল্লাহর ইবাদতে মগ্ন থাকতেন এবং দুনিয়াবি কাজ থেকে বিরত থাকতেন।
২. ইবাদত আরও বাড়িয়ে দেওয়া
হাদিসে এসেছে, শেষ দশকে তিনি ইবাদতে আরও বেশি মনোযোগী হতেন (বুখারি, মুসলিম)।
রাত জেগে নামাজ পড়া, কুরআন তিলাওয়াত করা এবং আল্লাহকে স্মরণ করা বাড়িয়ে দিতেন।
৩. লাইলাতুল কদর অনুসন্ধান করা
শেষ দশকের বেজোড় রাতগুলোতে (২১, ২৩, ২৫, ২৭, ২৯) লাইলাতুল কদর পাওয়ার আশায় ইবাদত করতেন।
রাসূল (সা.) বলেন, “যে ব্যক্তি লাইলাতুল কদরকে পেল এবং ইবাদত করল, তার পূর্বের সব গুনাহ মাফ হয়ে যায়।” (বুখারি, মুসলিম)
৪. পরিবারকে ইবাদতে উৎসাহিত করা
হাদিসে এসেছে, শেষ দশকে তিনি নিজের স্ত্রীদেরও ইবাদতের জন্য উৎসাহিত করতেন (বুখারি)।
৫. তওবা ও দোয়া বেশি করা
রাসূল (সা.) বিশেষ করে এই দোয়া বেশি পড়তেন:
اللهم إنك عفو تحب العفو فاعف عني
উচ্চারণ: “আল্লাহুম্মা ইন্নাকা আফুউন তুহিব্বুল আফওয়া ফা’ফু আন্নি।”
অর্থ: “হে আল্লাহ! তুমি ক্ষমাশীল, ক্ষমা করতে ভালোবাসো, আমাকে ক্ষমা করো।” (তিরমিজি)
৬. সাদকা ও দানশীলতা বৃদ্ধি করা
তিনি দান-সদকা করতেন এবং গরিবদের সাহায্য করতেন (বুখারি, মুসলিম)।
এই আমলগুলো করে আমরা শেষ দশককে আরও বরকতময় করতে পারি।