
বিভিন্ন সূত্রে জানা গেছে, বাংলাদেশ সরকার কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা, ডেটা সায়েন্স এবং অন্যান্য উদীয়মান প্রযুক্তির ক্ষেত্রে চীনের অভিজ্ঞতা ও দক্ষতা কাজে লাগাতে আগ্রহী। এই বিষয়ে দুই দেশের মধ্যে আলোচনা চলছে এবং বেশ কিছু সমঝোতা স্মারক স্বাক্ষরিত হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে।
বাংলাদেশের পক্ষ থেকে মূলত নিম্নলিখিত ক্ষেত্রগুলোতে চীনের সহযোগিতা চাওয়া হচ্ছে:
* গবেষণা ও উন্নয়ন: কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তার বিভিন্ন দিক নিয়ে যৌথ গবেষণা এবং নতুন প্রযুক্তি উদ্ভাবনে সহযোগিতা।
* প্রশিক্ষণ ও দক্ষতা বৃদ্ধি: বাংলাদেশের তরুণ এবং পেশাদারদের জন্য এআই সম্পর্কিত প্রশিক্ষণ কর্মসূচি চালু করা।
* প্রযুক্তি হস্তান্তর: চীন থেকে অত্যাধুনিক এআই প্রযুক্তি এবং জ্ঞান বাংলাদেশে নিয়ে আসা।
* নীতি ও কৌশল প্রণয়ন: কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তার সুষ্ঠু ব্যবহার এবং বিকাশের জন্য উপযুক্ত নীতি ও কৌশল নির্ধারণে চীনের অভিজ্ঞতা কাজে লাগানো।
* বিভিন্ন খাতে প্রয়োগ: কৃষি, স্বাস্থ্যসেবা, শিক্ষা, পরিবহন এবং স্মার্ট সিটি উন্নয়নের মতো গুরুত্বপূর্ণ খাতে এআই প্রযুক্তি প্রয়োগে সহযোগিতা।
চীনও বাংলাদেশের সাথে এই বিষয়ে সহযোগিতা করতে আগ্রহ প্রকাশ করেছে। কারণ বাংলাদেশ চীনের “বেল্ট অ্যান্ড রোড ইনিশিয়েটিভ”-এর একটি গুরুত্বপূর্ণ অংশ এবং এআই খাতে সহযোগিতা উভয় দেশের জন্যই লাভজনক হতে পারে।
এই সহযোগিতা বাংলাদেশের কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তার বিকাশে এবং ডিজিটাল বাংলাদেশ ভিশন ২০৪১ বাস্তবায়নে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখতে পারে বলে আশা করা যাচ্ছে।