
শেখ হাসিনা সম্প্রতি ভারত থেকে এক ভার্চুয়াল সভায় তার সমর্থকদের উদ্দেশ্যে বলেছেন যে তিনি বাংলাদেশে ফিরে এসে আওয়ামী লীগ কর্মীদের উপর যারা অপরাধ করেছে তাদের বিচার করবেন।
তিনি বলেন, “আল্লাহ আমাকে একটি কারণে বাঁচিয়ে রেখেছেন,” এবং সেই দিন আসবে যখন আওয়ামী লীগের নেতা ও কর্মীদের লক্ষ্য করে যারা হামলা করেছে তাদের বিচার হবে। তিনি বাংলাদেশের বর্তমান পরিস্থিতিকে “সন্ত্রাসী দেশ” হিসেবে বর্ণনা করেন যেখানে আওয়ামী লীগের সদস্য, পুলিশ, আইনজীবী, সাংবাদিক এবং শিল্পীরা নিহত হচ্ছেন।
শেখ হাসিনা আরও অভিযোগ করেন যে তত্ত্বাবধায়ক সরকারের প্রধান উপদেষ্টা মুহাম্মদ ইউনূস দ্বিচারিতা করছেন এবং “ক্ষমতার লোভে” বাংলাদেশেকে ক্ষতিগ্রস্ত করছেন। তিনি তার পরিবারের সদস্য, তার পিতা শেখ মুজিবুর রহমানের হত্যাকাণ্ডের কথা স্মরণ করেন এবং প্রতিজ্ঞা করেন যে বর্তমান অপরাধের জন্য যারা দায়ী তাদের অবশ্যই শাস্তি পেতে হবে।
তার শারীরিক অবস্থার বিষয়ে জানতে চাইলে তিনি উত্তর দেন, “আমি বেঁচে আছি, বাবা,” এবং তার নিজের পরিবারের সদস্যদের হত্যার পর যেভাবে তিনি ন্যায়বিচার চেয়েছিলেন, তেমনই বর্তমান অপরাধীদের খুঁজে বের করে শাস্তি দেওয়ার দৃঢ়তা পুনর্ব্যক্ত করেন।
এই বক্তব্যগুলো শেখ হাসিনার আগস্ট ২০২৪ সালে বাংলাদেশ ত্যাগ করার পর এসেছে, যখন ব্যাপক বিক্ষোভ এবং পরবর্তী দমন-পীড়ন চলছিল। তত্ত্বাবধায়ক সরকার এরপর ইঙ্গিত দিয়েছে যে তিনি “মানবতাবিরোধী অপরাধ”-সহ বিভিন্ন অভিযোগের মুখোমুখি হবেন এবং ভারত থেকে তার প্রত্যর্পণের চেষ্টা করছে।