
ইরানের বন্দর বান্দর আব্বাসে ভয়াবহ বিস্ফোরণে নিহতের সংখ্যা বেড়ে ৪০ জনে দাঁড়িয়েছে। এ ঘটনায় আহত হয়েছেন প্রায় ১০০০ জন।
শনিবারের এই বিস্ফোরণের কারণ এখনও স্পষ্ট নয়। তবে বিভিন্ন সূত্রে বিভিন্ন তথ্য পাওয়া যাচ্ছে।
* সরকারি ভাষ্য: ইরানের কাস্টমস কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে, বন্দরের বিপজ্জনক ও রাসায়নিক দ্রব্য সংরক্ষণের স্থানে আগুনের সূত্রপাত হয়ে এই বিস্ফোরণ ঘটেছে। দেশটির প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয় আন্তর্জাতিক গণমাধ্যমের খবর অস্বীকার করে বলেছে, বিস্ফোরণের সঙ্গে ক্ষেপণাস্ত্র বা সামরিক জ্বালানির কোনো সম্পর্ক নেই।
* বেসরকারি সূত্র: বেসরকারি নিরাপত্তা সংস্থা অ্যামব্রে জানিয়েছে, মার্চ মাসে চীন থেকে দুটি জাহাজে করে ইরানের ক্ষেপণাস্ত্রের জন্য প্রয়োজনীয় কঠিন জ্বালানি ‘সোডিয়াম পারক্লোরেট’ বন্দরে আনা হয়েছিল। ধারণা করা হচ্ছে, এই রাসায়নিক দ্রব্যের ভুল ব্যবস্থাপনার কারণে বিস্ফোরণ ঘটেছে। নিউইয়র্ক টাইমসকে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে ইরানের রেভল্যুশনারি গার্ড কর্পসের (আইআরজিসি) সঙ্গে যুক্ত এক ব্যক্তি নাম প্রকাশ না করার শর্তে সোডিয়াম পারক্লোরেট বিস্ফোরিত হওয়ার কথা জানিয়েছেন।
* আন্তর্জাতিক গণমাধ্যম: আন্তর্জাতিক গণমাধ্যমের খবরে বলা হচ্ছে, ক্ষেপণাস্ত্র তৈরির রাসায়নিক পদার্থের মজুত থেকে এই বিস্ফোরণ ঘটেছে।
ইরানের প্রেসিডেন্ট মাসউদ পেজেশকিয়ান এই ঘটনার তদন্তের নির্দেশ দিয়েছেন এবং হতাহতদের পরিবারের প্রতি গভীর সমবেদনা জানিয়েছেন।
এই বিস্ফোরণের ফলে বন্দরটির ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে। বেশ কয়েকটি কনটেইনার বিধ্বস্ত হয়েছে এবং বহু দূর পর্যন্ত জানালার কাঁচ ভেঙে গেছে।
উল্লেখ্য, হরমুজ প্রণালীর কাছে অবস্থিত এই বন্দরটি ইরানের অন্যতম প্রধান বাণিজ্যিক কেন্দ্র।