
হার্ট ব্লকের লক্ষণ এবং কারা সবচেয়ে বেশি ঝুঁকিতে তা নিচে উল্লেখ করা হলো:
হার্ট ব্লকের লক্ষণ:
হার্ট ব্লকের লক্ষণগুলি তীব্রতার উপর নির্ভর করে। কিছু লোকের কোনো লক্ষণ নাও থাকতে পারে, বিশেষ করে প্রথম-ডিগ্রি হার্ট ব্লকের ক্ষেত্রে। লক্ষণগুলো ধীরে ধীরে বা হঠাৎ করেও দেখা দিতে পারে। কিছু সাধারণ লক্ষণ হলো:
* মাথা ঘোরা বা হালকা লাগা: মস্তিষ্কে পর্যাপ্ত রক্ত সরবরাহ না হওয়ার কারণে এই অনুভূতি হতে পারে।
* বেহুঁশ হয়ে যাওয়া বা অজ্ঞান হওয়া (Fainting): এটি গুরুতর হার্ট ব্লকের একটি লক্ষণ।
* বুকের ব্যথা (Chest pain): যদিও সবসময় হার্ট ব্লকের কারণে হয় না, তবুও এই লক্ষণ দেখা দিলে দ্রুত ডাক্তারের পরামর্শ নেওয়া উচিত।
* শ্বাসকষ্ট (Shortness of breath): হৃদপিণ্ড পর্যাপ্ত রক্ত পাম্প করতে না পারলে শ্বাসকষ্ট হতে পারে।
* অত্যধিক ক্লান্তি (Extreme tiredness/fatigue): দুর্বল হৃদকার্যকারিতার কারণে ক্লান্তি লাগতে পারে।
* হার্টবিট irregular মনে হওয়া বা বুক ধড়পড় করা (Palpitations or skipped heartbeats): হৃদস্পন্দনের অস্বাভাবিকতার কারণে এই অনুভূতি হতে পারে।
* বমি বমি ভাব (Nausea): কিছু ক্ষেত্রে বমি বমি ভাবও দেখা দিতে পারে।
সবচেয়ে বেশি ঝুঁকিতে কারা:
কিছু কারণ রয়েছে যা হার্ট ব্লকের ঝুঁকি বাড়াতে পারে:
* বয়স্ক ব্যক্তি: বয়স বৃদ্ধির সাথে সাথে হৃদপিণ্ডের বৈদ্যুতিক সিস্টেমে সমস্যা হওয়ার ঝুঁকি বাড়ে।
* হৃদরোগের ইতিহাস: যাদের পূর্বে হার্ট অ্যাটাক, করোনারি আর্টারি ডিজিজ বা অন্য কোনো হৃদরোগ রয়েছে তাদের ঝুঁকি বেশি।
* কার্ডিওমায়োপ্যাথি (Cardiomyopathy): হৃদপেশীর দুর্বলতা বা অস্বাভাবিকতা হার্ট ব্লকের কারণ হতে পারে।
* জন্মগত হৃদরোগ (Congenital heart defects): কিছু শিশু জন্ম থেকেই হার্ট ব্লকের সমস্যা নিয়ে আসতে পারে।
* উচ্চ রক্তচাপ (High blood pressure): দীর্ঘস্থায়ী উচ্চ রক্তচাপ হৃদপিণ্ডের ক্ষতি করতে পারে।
* উচ্চ কোলেস্টেরল (High cholesterol): এটি ধমনীতে ব্লকের সৃষ্টি করতে পারে এবং হৃদরোগের ঝুঁকি বাড়ায়।
* ডায়াবেটিস (Diabetes): ডায়াবেটিস হৃদপিণ্ডের রক্তনালী ও স্নায়ুর ক্ষতি করতে পারে।
* কিছু নির্দিষ্ট ওষুধ: কিছু ওষুধ হৃদস্পন্দনের গতি কমিয়ে দিতে পারে এবং হার্ট ব্লকের ঝুঁকি বাড়াতে পারে।
* অটোইমিউন রোগ (Autoimmune diseases): লুপাস বা সজোগ্রেন সিন্ড্রোমের মতো রোগ হার্ট ব্লকের ঝুঁকি বাড়াতে পারে।
* লাইম রোগ (Lyme disease): এই সংক্রমণ হৃদপিণ্ডের বৈদ্যুতিক সিস্টেমে প্রভাব ফেলতে পারে।
* উচ্চ পটাসিয়ামের মাত্রা (High potassium levels): রক্তে পটাসিয়ামের অস্বাভাবিক মাত্রা হৃদস্পন্দনে সমস্যা সৃষ্টি করতে পারে।
* থাইরয়েডের সমস্যা (Thyroid problems): গুরুতর হাইপোথাইরয়েডিজম হার্ট ব্লকের ঝুঁকি বাড়াতে পারে।
* হৃদপিণ্ডের অস্ত্রোপচারের পর: কিছু ক্ষেত্রে হৃদপিণ্ডের অস্ত্রোপচারের পর হার্ট ব্লক দেখা দিতে পারে।
যদি আপনার উপরে উল্লেখ করা কোনো লক্ষণ থাকে বা আপনি ঝুঁকিপূর্ণ দলের অন্তর্ভুক্ত হন, তবে দ্রুত একজন হৃদরোগ বিশেষজ্ঞের পরামর্শ নেওয়া উচিত। সঠিক সময়ে রোগ নির্ণয় ও চিকিৎসা জটিলতা এড়াতে সহায়ক হতে পারে।