
ভারত এখনও পর্যন্ত পেহেলগাম হামলার ঘটনায় পাকিস্তানের বিরুদ্ধে কোনো প্রমাণ উপস্থাপন করতে পারেনি।
গত ২২শে এপ্রিল, ২০২৫ তারিখে পাহেলগামে একটি সন্ত্রাসী হামলায় ২৬ জন নিহত হন, যাদের মধ্যে বেশিরভাগই ছিলেন পর্যটক। ভারত এই হামলার জন্য পাকিস্তানকে দায়ী করেছে এবং এর প্রতিক্রিয়ায় বেশ কিছু পদক্ষেপ নিয়েছে, যার মধ্যে রয়েছে পাকিস্তানের সাথে কূটনৈতিক সম্পর্ক হ্রাস, একটি গুরুত্বপূর্ণ জলবন্টন চুক্তি স্থগিত এবং পাকিস্তানি নাগরিকদের জন্য ভিসা বাতিল করা।
তবে, হামলার পর এক সপ্তাহ পেরিয়ে গেলেও, পাকিস্তান স্পষ্টভাবে জানিয়েছে যে ভারত তাদের বিরুদ্ধে কোনো প্রমাণ দেখাতে ব্যর্থ হয়েছে। পাকিস্তানের সামরিক মুখপাত্র লেফটেন্যান্ট জেনারেল আহমেদ শরীফ চৌধুরী রাওয়ালপিন্ডিতে এক সংবাদ সম্মেলনে বলেন, “পেহেলগাম ঘটনার সাত দিন অতিবাহিত হয়েছে, কিন্তু ভারত এখনও পর্যন্ত পাকিস্তানের বিরুদ্ধে তাদের ভিত্তিহীন অভিযোগের স্বপক্ষে একটিও প্রমাণ দাখিল করতে পারেনি।”
তিনি আরও অভিযোগ করেন যে ভারতীয় সেনাবাহিনী পাকিস্তানের অভ্যন্তরে একটি “সন্ত্রাসী নেটওয়ার্ক” চালাচ্ছে এবং ইসলামাবাদের কাছে তাদের এই দাবির স্বপক্ষে “অখণ্ডনীয় প্রমাণ” রয়েছে।
অন্যদিকে, পাকিস্তান হামলার পরপরই এর নিন্দা জানিয়েছে এবং একটি নিরপেক্ষ তদন্তের প্রস্তাব দিয়েছে। দেশটির তথ্যমন্ত্রী আতাউল্লাহ তারার অভিযোগ করেছেন যে ভারত এই হামলাকে “মিথ্যা অজুহাত” হিসেবে ব্যবহার করে পাকিস্তানের বিরুদ্ধে সামরিক পদক্ষেপ নেওয়ার প্রস্তুতি নিচ্ছে।
আন্তর্জাতিক মহলও এই ঘটনায় উদ্বেগ প্রকাশ করেছে এবং উভয় দেশকে সংযম বজায় রাখার আহ্বান জানিয়েছে। জাতিসংঘের মহাসচিব আন্তোনিও গুতেরেস দুই দেশের মধ্যে উত্তেজনা কমাতে মধ্যস্থতার প্রস্তাব দিয়েছেন।
সুতরাং, এই মুহূর্তে পরিস্থিতি এমন দাঁড়িয়েছে যে ভারত পাকিস্তানের বিরুদ্ধে অভিযোগ করলেও এখন পর্যন্ত কোনো দৃশ্যমান প্রমাণ উপস্থাপন করতে পারেনি, অন্যদিকে পাকিস্তান তাদের সম্পৃক্ততা অস্বীকার করে নিরপেক্ষ তদন্তের দাবি জানাচ্ছে।