
ইংলিশ ফুটবল অ্যাসোসিয়েশন (এফএ) সম্প্রতি একটি নতুন নীতি ঘোষণা করেছে, যার অধীনে ট্রান্সজেন্ডার নারীরা এখন থেকে ইংল্যান্ডের নারী ফুটবলে অংশগ্রহণ করতে পারবেন না। এই নিষেধাজ্ঞাটি আগামী ১ জুন, ২০২৫ থেকে কার্যকর হবে।
এফএ এই সিদ্ধান্তের কারণ হিসেবে জানিয়েছে যে, সম্প্রতি যুক্তরাজ্যের সুপ্রিম কোর্টের একটি রায় এসেছে, যেখানে বলা হয়েছে আইনিভাবে একজন নারীর সংজ্ঞা তার জৈবিক লিঙ্গের উপর ভিত্তি করে নির্ধারিত হবে। এর আগে, এফএ ট্রান্সজেন্ডার নারীদের নারী দলে অংশগ্রহণের অনুমতি দিত, যদি তারা নির্দিষ্ট সময় ধরে টেস্টোস্টেরনের মাত্রা কম রাখার শর্ত পূরণ করতেন।
এফএ-এর পক্ষ থেকে বলা হয়েছে যে, তারা বুঝতে পারছেন এই সিদ্ধান্ত उन ব্যক্তিদের জন্য কঠিন হবে যারা তাদের পছন্দের লিঙ্গ পরিচয়ে ফুটবল খেলতে চান। তবে তারা এটাও জানিয়েছে যে, খেলার জাতীয় নিয়ন্ত্রক সংস্থা হিসেবে তাদের দায়িত্ব হলো ফুটবলের সুরক্ষা এবং ন্যায্য প্রতিযোগিতা নিশ্চিত করা।
এই সিদ্ধান্তের ফলে ইংল্যান্ডের নারী ফুটবলে নিবন্ধিত ট্রান্সজেন্ডার খেলোয়াড়দের অংশগ্রহণে বাধা সৃষ্টি হবে। যদিও পেশাদার নারী ফুটবলে এই মুহূর্তে কোনো ট্রান্সজেন্ডার নারী খেলোয়াড় নেই, তৃণমূল পর্যায়ে কিছু খেলোয়াড় এই সিদ্ধান্তের দ্বারা প্রভাবিত হবেন।
স্কটল্যান্ডও একই ধরনের নিষেধাজ্ঞা জারি করার পথে হেঁটেছে। বিশ্লেষকরা মনে করছেন, এই পদক্ষেপ লিঙ্গ সমতা, ট্রান্সজেন্ডার অধিকার এবং খেলার ন্যায্যতার মতো বিষয়গুলোতে নতুন করে বিতর্ক সৃষ্টি করতে পারে।