
ভারতীয় প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির সাম্প্রতিক জিঙ্গোইজম (পররাষ্ট্রনীতির ক্ষেত্রে আগ্রাসী মনোভাব ও কট্টর জাতীয়তাবাদ) মন্তব্যের প্রেক্ষাপটে আনুষ্ঠানিক বিবৃতি দিয়েছে পাকিস্তানের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়। এতে দু’দেশের দ্বিপাক্ষিক পররাষ্ট্রনীতি ও আন্তর্জাতিক সম্পর্ককে ‘উদ্বেগজনক’ হিসেবে অভিহিত করেছে পাকিস্তান। ধর্মীয় সংখ্যালঘু নির্যাতন ইস্যু ও জম্মু-কাশ্মিরের প্রসঙ্গ টেনে আনার পাশাপাশি ভারতকে দখলদার ও ধ্বংসযজ্ঞের নেপথ্যে অবস্থানকারী হিসেবেও বর্ণনা করে দেশটি।
বুধবার (২৮ মে) সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমেও বিবৃতিটি প্রকাশ করে ইসলামাবাদ।
এতে বলা হয়, মোদির বক্তব্য দুঃখজনক। তবে তা একেবারে অপ্রত্যাশিত-ও না। ভারতীয় প্রধানমন্ত্রী আবার আরেকটি উস্কানিমূলক বক্তৃতা দিলেন
পানিকে অস্ত্র হিসেবে ব্যবহার করে একটি চুক্তিবদ্ধ প্রাকৃতিক সম্পদের অসম বণ্টনের বিষয়টিও উঠে আসে বিবৃতিতে। যা পরস্পর সমান্তরাল আবহের সম্পর্কের পথে স্পষ্ট বাধা হিসেবে দেখছে পাকিস্তান।
বিবৃতিতে বলা হয়, যে নেতৃত্ব সত্যিই আন্তর্জাতিক সম্মান কামনা করে, তাকে প্রথমে আত্মপরিদর্শন করতে হবে এবং অন্যদের হুমকি দেয়ার আগে নিজের বিবেক পরিষ্কার করতে হবে। ভারত সরকার সীমান্ত হত্যার সঙ্গে বিদেশি অঞ্চল দখলের সাথেও জড়িত। তারা দখলদারিত্বে জড়িত হলেও এখন তারাই আবার নিজেদেরকে ভুক্তভোগী হিসেবে উপস্থাপন করার চেষ্টা করছে।