সিরিয়া থেকে হামলার অভিযোগ তুলে দেশটিতে বিমান হামলা চালিয়েছে ইসরায়েল। মঙ্গলবার (৩ জুন) দক্ষিণ সিরিয়ার দেরা প্রদেশে মধ্যরাত থেকে দফায়-দফায় হামলা করে ইসরায়েলি সামরিক বাহিনী (আইডিএফ)।
সিরিয়ার পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় জানায়, ইসরায়েলের এই হামলা অঞ্চলটিকে অস্থিতিশীল করতে চাইছে।
ইসরায়েলের প্রতিরক্ষামন্ত্রী ইসরায়েল কাটজ সিরিয়ার অন্তর্বর্তী প্রেসিডেন্ট আহমেদ আল-শারাকে ইসরায়েলের দিকে ক্ষেপণাস্ত্র নিক্ষেপের জন্য সরাসরি দায়ী করেছেন। গত ডিসেম্বরে বাশার আল-আসাদের শাসন উৎখাত করে আল-শারা ক্ষমতায় আসার পর থেকেই ইসরায়েল সিরিয়ায় হামলা বাড়িয়ে দিয়েছে।
যুক্তরাজ্য-ভিত্তিক মনিটরিং গ্রুপ সিরিয়ান অবজারভেটরি ফর হিউম্যান রাইটস জানায়, ইসরায়েলের বিমান হামলায় সিরিয়ার দক্ষিণাঞ্চল, বিশেষ করে কুনেইত্রা শহর ও দেরা অঞ্চলে প্রচণ্ড বিস্ফোরণ হয়। সিরিয়ার পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় এক বিবৃতিতে বলেছে, ‘এই হামলা সিরিয়ার সার্বভৌমত্বের সরাসরি লঙ্ঘন।’
ইসরায়েলের হামলায় কতজন নিহত বা আহত হয়েছে তা এখনও স্পষ্ট নয়। ইসরায়েল জানিয়েছে, সিরিয়া থেকে নিক্ষিপ্ত দুটি ক্ষেপণাস্ত্র তাদের খোলা জমিতে পড়লেও কেউ আহত হয়নি। ইসরায়েলি মিডিয়া জানায়, বাশার আল-আসাদের পতনের পর এটিই প্রথম সিরিয়া থেকে ইসরাইলের দিকে ক্ষেপণাস্ত্র নিক্ষেপের ঘটনা।
ইসরায়েলের প্রতিরক্ষামন্ত্রী কাটজ বলেন, ‘সিরিয়ার প্রেসিডেন্টই ইসরায়েলের দিকে গোলাবর্ষণের জন্য সরাসরি দায়ী।
তবে সিরিয়ার পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় জানায়, সিরিয়া থেকে ক্ষেপণাস্ত্র নিক্ষেপের খবর এখনও যাচাই করা হয়নি।
১৯৭৬ সালে সিরিয়ার কাছ থেকে দখল করা গোলান হাইটসে ইসরায়েল বসতি সম্প্রসারণের পাশাপাশি সিরিয়ার সামরিক অবকাঠামো ধ্বংসে হামলা চালিয়ে যাচ্ছে। গত মাসে, যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প সিরিয়ার ওপর দশ বছরের পুরনো নিষেধাজ্ঞা তুলে নেয়ার ঘোষণা দেন।
গত মাসে ইসরায়েল দামেস্কের প্রেসিডেন্ট প্রাসাদের কাছে বোমা হামলা চালায়, যা প্রধামন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহু বলেন, ‘একটি স্পষ্ট বার্তা’ যে তারা দামেস্কের দক্ষিণে সেনা মোতায়েন করতে দেবে না।
এদিকে, জাতিসংঘের মহাসচিব আন্তোনিও গুতেরেস এই হামলাকে ‘সিরিয়ার সার্বভৌমত্বের লঙ্ঘন” বলে অভিহিত করেন।’
