
কুরবানি ইসলামের একটি তাৎপর্যপূর্ণ ইবাদত, যা মূলত আল্লাহর সন্তুষ্টির উদ্দেশ্যে সম্পাদিত হয়ে থাকে। এটি ইবরাহিম (আ.) ও তাঁর পুত্র ইসমাঈল (আ.) এর আত্মত্যাগের ইতিহাসকে স্মরণ করিয়ে দেয়। প্রতি বছর ঈদুল আজহার দিনগুলোর নির্ধারিত সময়ে কুরবানি আদায় করা হয়। এর মাধ্যমে আমরা ত্যাগ ও তাকওয়ার শিক্ষা লাভ করি।
এ ক্ষেত্রে প্রায়সময়ই দেখা যায় অনেকেই কুরবানির পশুর নাড়ি-ভুঁড়ি অন্যকে দিয়ে পরিষ্কার করান এবং সেটি থেকে পারিশ্রমিক হিসেবে ওই ব্যক্তিকে কিছু অংশ দিয়ে দেন। আবার কেউ কেউ কসাইকে পারিশ্রমিক হিসেবে কুরবানির পশুর গোশত দিয়ে থাকেন। কিন্তু এমনটা করা কি শরিয়তসম্মত?
ইসলামী স্কলার শায়খ আহমাদুল্লাহর মতে, কুরবানির মধ্যে সবচেয়ে বড় ধরনের ভুলগুলোর মধ্যে একটি হলো কসাইকে কুরবানির মাংস দেয়া। হাদিসে স্পষ্টভাবে এসেছে, রাসুল (সা.) বলেছেন- তোমরা কুরবানির পশুর কোনোকিছু কসাইকে দেবে না। তাকে পারিশ্রমিক হিসেবে আলাদা টাকা দেয়ার কথা বলা হয়েছে। কারণ, আল্লাহর সন্তুষ্টির জন্য কুরবানির পশু জবাই করা হয়। আর কুরবানির পশুর কোনো অংশ বিক্রি করা জায়েজ নেই। সুতরাং, কসাইকে পারিশ্রমিক হিসেবে কুরবানির পশুর গোশত বা নাড়ি-ভুঁড়ি দিলে সেটি বিনিময় হয়ে যায়, যেটি কোনোভাবেই জায়েজ হবে না।