
ইরান-ইসরায়েল সংঘাতের তীব্রতা বৃদ্ধির পর ইসরায়েলের প্রধানমন্ত্রী বেঞ্জামিন নেতানিয়াহু ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির সঙ্গে টেলিফোনে কথা বলেছেন। এই ফোনালাপে তারা মধ্যপ্রাচ্যের “ক্রমবর্ধমান পরিস্থিতি” নিয়ে আলোচনা করেন।
ফোনালাপের মূল বিষয়বস্তু:
* নেতানিয়াহুর ব্রিফিং: ইসরায়েলের প্রধানমন্ত্রী নেতানিয়াহু নরেন্দ্র মোদিকে ইরানের সঙ্গে চলমান সংঘাত এবং ইসরায়েলের “অপারেশন রাইজিং লায়ন” (Operation Rising Lion) সম্পর্কে বিস্তারিত অবহিত করেন, যা ইরানের সামরিক ও পারমাণবিক স্থাপনা লক্ষ্য করে পরিচালিত হয়েছে।
* ভারতের উদ্বেগ: মোদি এই পরিস্থিতিতে ভারতের গভীর উদ্বেগ প্রকাশ করেন এবং মধ্যপ্রাচ্যে দ্রুত শান্তি ও স্থিতিশীলতা ফিরিয়ে আনার ওপর জোর দেন। তিনি তার এক্স (পূর্বের টুইটার) পোস্টে জানান, “ইসরায়েলের প্রধানমন্ত্রী @netanyahu-র কাছ থেকে একটি ফোন কল পেয়েছি। তিনি আমাকে ক্রমবর্ধমান পরিস্থিতি সম্পর্কে অবহিত করেছেন। আমি ভারতের উদ্বেগ শেয়ার করেছি এবং এই অঞ্চলে দ্রুত শান্তি ও স্থিতিশীলতা ফিরিয়ে আনার প্রয়োজনীয়তার উপর জোর দিয়েছি।”
* উভয়পক্ষের ডি-এস্কেলেশনের আহ্বান: ফোনালাপের আগে ভারতের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় (MEA) ইসরায়েলের বিমান হামলা নিয়ে গভীর উদ্বেগ প্রকাশ করেছিল এবং উভয় পক্ষকে আরও উত্তেজনা বাড়ানো থেকে বিরত থাকতে আহ্বান জানিয়েছিল। ভারত কূটনৈতিক চ্যানেলের মাধ্যমে পরিস্থিতি শান্ত করার এবং অন্তর্নিহিত সমস্যা সমাধানের দিকে কাজ করার কথা বলেছে।
* বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্ক: ভারত উভয় দেশের (ইসরায়েল ও ইরান) সঙ্গেই “ঘনিষ্ঠ এবং বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্ক” বজায় রাখে এবং সংকট নিরসনে “সব ধরনের সম্ভাব্য সহায়তা” দিতে প্রস্তুত বলেও জানিয়েছে।
* নেতানিয়াহুর অন্যান্য ফোনালাপ: নেতানিয়াহু শুধু মোদি নন, মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প এবং রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিনের সঙ্গেও ফোনালাপ করেছেন বলে জানা গেছে। ইসরায়েলি বিবৃতিতে বলা হয়েছে, এই নেতারা “ইরানের বিলুপ্তির হুমকির মুখে ইসরায়েলের প্রতিরক্ষা প্রয়োজনীয়তা” বুঝতে পেরেছেন।
এই ফোনালাপটি আন্তর্জাতিক মহলে চলমান সংঘাতের বিষয়ে ভারতের অবস্থান তুলে ধরেছে, যেখানে ভারত সংযম এবং আলোচনার মাধ্যমে সমাধানের পক্ষে।