
ইরানের সর্বোচ্চ ধর্মীয় নেতা আয়াতুল্লাহ আলী খামেনি সম্প্রতি ইসরায়েলের প্রতি “কোনো সহানুভূতি নয়” (No Sympathy for Israel) এই কঠোর মন্তব্য করেছেন। মূলত, ইসরায়েল কর্তৃক ইরানের সামরিক ও পারমাণবিক স্থাপনায় বিমান হামলার পর তিনি এই হুঁশিয়ারি দিয়েছেন।
খামেনির বক্তব্য অনুসারে:
* কঠোর জবাবের প্রস্তুতি: তিনি জানিয়েছেন যে ইসরায়েলকে সম্মুখ যুদ্ধে মোকাবিলা করার জন্য ইরানের সামরিক বাহিনী প্রস্তুত এবং এক্ষেত্রে ইসরায়েলের প্রতি কোনো দয়া প্রদর্শন করা হবে না।
* “করুণ ও যন্ত্রণাময় পরিণতি”: তিনি বলেছেন, ইসরায়েলকে কঠোর শাস্তির মুখোমুখি হতে হবে এবং তাদের জন্য এক করুণ ও যন্ত্রণাময় পরিণতি অপেক্ষা করছে।
* অপরাধের প্রতিশোধ: তার মতে, ইসরায়েল যে “ঘৃণ্য অপরাধ” করেছে, এরপর তারা আর নিরাপদে পালিয়ে যেতে পারবে না। ইরানি জাতি তাদের “মূল্যবান শহীদদের রক্তকে প্রতিশোধ ছাড়াই যেতে দেবে না।”
* জনগণের সমর্থন: খামেনি উল্লেখ করেছেন যে সশস্ত্র বাহিনী শক্তিশালীভাবে প্রতিক্রিয়া জানাবে এবং ঘৃণ্য ইহুদিবাদী শাসনব্যবস্থার ওপর ধ্বংস ডেকে আনবে। তিনি আরও বলেছেন যে দেশের কর্মকর্তারা এবং সমস্ত জনগণ সশস্ত্র বাহিনীর পিছনে রয়েছে।
এই মন্তব্যগুলো ইরান-ইসরায়েল উত্তেজনার পারদ আরও বাড়িয়ে দিয়েছে। এই অঞ্চলে সংঘাতের নতুন আশঙ্কার সৃষ্টি হয়েছে, বিশেষ করে যখন ইরানও পাল্টা হামলা চালানোর ইঙ্গিত দিচ্ছে।