
ইসরায়েল কর্তৃক ইরানের সর্বোচ্চ ধর্মীয় নেতা আয়াতুল্লাহ আলী খামেনিকে হত্যার চেষ্টার সম্ভাবনা নিয়ে বেশ আলোচনা চলছে, বিশেষ করে ইরান-ইসরায়েল সংঘাত তীব্র আকার ধারণ করার পর। সাম্প্রতিক কিছু প্রতিবেদনে এই সম্ভাবনার কথা উঠে এসেছে:
* ইসরায়েলের ইঙ্গিত: ইসরায়েলের একজন জ্যেষ্ঠ কর্মকর্তা ‘ওয়াল স্ট্রিট জার্নাল’-কে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে ইঙ্গিত দিয়েছেন যে, আয়াতুল্লাহ আলী খামেনিকে লক্ষ্যবস্তু করা “অসম্ভব নয়” (“not off limits”)। এই মন্তব্যকে ইসরায়েলের কৌশলগত অবস্থানের একটি নাটকীয় পরিবর্তন হিসেবে দেখা হচ্ছে। ইসরায়েল ইরানের পারমাণবিক এবং সামরিক অবকাঠামো লক্ষ্য করে তাদের অভিযান জোরদার করার পরিপ্রেক্ষিতে এই ইঙ্গিতটি দেওয়া হয়েছে।
* দৃষ্টিভঙ্গির পরিবর্তন: আগে ইসরায়েল সাধারণত সরাসরি রাষ্ট্রপ্রধানদের লক্ষ্যবস্তু করত না, তবে বর্তমান পরিস্থিতিতে মনে হচ্ছে তাদের নীতিতে পরিবর্তন আসতে পারে। ইরানকে ‘आतंकवादी संगठन’ হিসেবে বিবেচনা না করে একটি সার্বভৌম রাষ্ট্র হিসেবেই দেখা হলেও, ইসরায়েলের কিছু মহলে মনে করা হচ্ছে যে খামেনিকে হত্যা করলে ইরানের শাসনব্যবস্থা অস্থিতিশীল হতে পারে।
* গুরুত্বপূর্ণ বিবেচনা: আয়াতুল্লাহ আলী খামেনি ১৯৮৯ সাল থেকে ইরানের সর্বোচ্চ নেতা হিসেবে দায়িত্ব পালন করছেন এবং তিনি ইসলামি প্রজাতন্ত্রের মূল স্তম্ভ। তাকে হত্যা করলে ইরানে ব্যাপক অস্থিরতা সৃষ্টি হতে পারে এবং ক্ষমতা হস্তান্তরের প্রক্রিয়ায় জটিলতা তৈরি হতে পারে।
* সম্ভাব্য পদ্ধতি: যদি ইসরায়েল এই ধরনের পদক্ষেপ নেয়, তবে সম্ভাব্য পদ্ধতিগুলো হতে পারে বিমান হামলা অথবা ইরানের ইসলামিক রেভল্যুশনারি গার্ড কর্পস (IRGC) এর ভালি আমর প্রোটেকশন কর্পস-এ অনুপ্রবেশ, যারা খামেনির ব্যক্তিগত নিরাপত্তা প্রদান করে।
* আঞ্চলিক প্রভাব: এই ধরনের পদক্ষেপের আঞ্চলিক এবং আন্তর্জাতিক প্রতিক্রিয়া অত্যন্ত গুরুতর হতে পারে। এটি মধ্যপ্রাচ্যে একটি ব্যাপক যুদ্ধের সূত্রপাত করতে পারে এবং বিশ্বের অন্যান্য দেশের ওপরও এর বড় ধরনের প্রভাব পড়তে পারে।
যদিও ইসরায়েলের পক্ষ থেকে সরাসরি এই ধরনের কোনো ঘোষণা আসেনি, তবে তাদের কর্মকর্তাদের ইঙ্গিত এবং চলমান সংঘাতের তীব্রতা দেখে এই জল্পনা বৃদ্ধি পেয়েছে। ইরানও তাদের সর্বোচ্চ নেতার নিরাপত্তা নিয়ে সতর্ক অবস্থানে রয়েছে বলে ধারণা করা হচ্ছে।