
ইরানে ইসরায়েলের হামলার তীব্র নিন্দা জানিয়েছে সৌদি আরব। এই নিন্দা জানানোর পাশাপাশি সৌদি যুবরাজ মোহাম্মদ বিন সালমান ইরানের নবনির্বাচিত প্রেসিডেন্ট মাসুদ পেজেশকিয়ানের সঙ্গে টেলিফোনে কথা বলেছেন।
সৌদি আরবের নিন্দা:
* আন্তর্জাতিক আইনের লঙ্ঘন: সৌদি আরবের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় এক বিবৃতিতে ইসরায়েলি হামলাকে আন্তর্জাতিক আইন ও রীতিনীতির স্পষ্ট লঙ্ঘন বলে অভিহিত করেছে।
* সার্বভৌমত্ব ও নিরাপত্তা ক্ষুণ্ন: বিবৃতিতে বলা হয়েছে, এই হামলা ইরানের সার্বভৌমত্ব ও নিরাপত্তাকে ক্ষুণ্ন করছে।
* আক্রমণাত্মক আচরণ: সৌদি আরব এটিকে “অগ্রহণযোগ্য এবং চলমান আক্রমণাত্মক আচরণের প্রতিনিধিত্ব” হিসেবে উল্লেখ করেছে, যা এই অঞ্চলে স্থিতিশীলতার ভিত্তিকে ক্ষুন্ন করে।
* ইসরায়েলকে দায়ী: ওমানও এই হামলার নিন্দা জানিয়ে ইসরায়েলকে সরাসরি পরিস্থিতির জন্য দায়ী করেছে।
প্রিন্স সালমান-পেজেশকিয়ানের ফোনালাপ:
* নিন্দাজ্ঞাপন ও সমবেদনা: সৌদি যুবরাজ মোহাম্মদ বিন সালমান শনিবার (১৪ জুন, ২০২৫) ইরানের প্রেসিডেন্ট মাসুদ পেজেশকিয়ানের সঙ্গে টেলিফোনে আলাপকালে ইরানের ওপর ইসরায়েলি হামলার তীব্র নিন্দা জানান। তিনি হামলায় নিহতদের পরিবারের প্রতি সমবেদনা জানান এবং আহতদের দ্রুত আরোগ্য কামনা করেন।
* আঞ্চলিক শান্তি ও স্থিতিশীলতা: জানা গেছে, ফোনালাপে ইরানের প্রেসিডেন্ট মাসুদ পেজেশকিয়ান দায়িত্ব গ্রহণের পর থেকেই আঞ্চলিক শান্তি, স্থিতিশীলতা এবং নিরাপত্তা জোরদারে কাজ করার কথা বলেছেন।
* সম্পর্ক উন্নয়ন: পেজেশকিয়ান সৌদি আরব-ইরানের সম্পর্ক আগের চেয়ে অনেক উন্নত বলে উল্লেখ করেছেন এবং আঞ্চলিক স্বার্থে এই সহযোগিতা অব্যাহত রাখা জরুরি বলে মনে করেন।
* উত্তেজনা হ্রাস ও সংলাপ: সালমান ফোনালাপে বিরোধ সমাধানের জন্য শক্তি প্রয়োগ বন্ধ ও মতপার্থক্য সমাধানের ভিত্তি হিসেবে সংলাপের ওপর জোর দিয়েছেন। তিনি ইসরায়েলের হামলা ইরানের পারমাণবিক কর্মসূচি ঘিরে চলমান সংলাপকে ব্যাহত করেছে বলেও উল্লেখ করেন।
* হজ মৌসুম: উত্তরে প্রেসিডেন্ট মাসুদ পেজেশকিয়ান সৌদি বাদশাহ সালমানকে হজ মৌসুমে ইরানি হজযাত্রীদের সেবা ও নিরাপদে দেশে ফেরার ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য ধন্যবাদ জানান।
এই ফোনালাপটি মধ্যপ্রাচ্যে চলমান উত্তেজনার মধ্যে একটি গুরুত্বপূর্ণ কূটনৈতিক পদক্ষেপ হিসেবে বিবেচিত হচ্ছে, যা সৌদি আরব ও ইরানের মধ্যে সম্পর্কের উন্নতির ইঙ্গিত বহন করে।