
যুক্তরাষ্ট্রের সাবেক প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প সম্প্রতি ইরানের সর্বোচ্চ নেতা আয়াতুল্লাহ আলী খামেনিকে “গুড লাক” (শুভকামনা) বলেছেন। এটি এমন এক সময়ে ঘটেছে যখন ইরান-ইসরায়েল সংঘাত তীব্র আকার ধারণ করেছে এবং ট্রাম্প ইরানের উপর সামরিক হামলার অনুমোদন দেওয়ার কথা বিবেচনা করছেন বলে খবর পাওয়া যাচ্ছে।
কেন ট্রাম্প এই মন্তব্য করেছেন?
এই মন্তব্যের পেছনে বেশ কিছু কারণ রয়েছে:
* খামেনির ‘আত্মসমর্পণ না করার’ বার্তা: আয়াতুল্লাহ খামেনি প্রকাশ্যে ঘোষণা করেছেন যে ইরান কখনোই যুক্তরাষ্ট্রের কাছে আত্মসমর্পণ করবে না, এমনকি সামরিক হস্তক্ষেপের হুমকির মুখেও নয়। এই মন্তব্যের প্রতিক্রিয়ায় ট্রাম্প কটাক্ষ করে “গুড লাক” বলেছেন, যা এক প্রকার হুঁশিয়ারি হিসেবে বিবেচিত হচ্ছে।
* ইরানের দুর্দশার দাবি: ট্রাম্প দাবি করেছেন যে ইরান বর্তমানে “ধ্বংসের মুখে” রয়েছে এবং তারা এখন আলোচনা করতে চাইছে। তিনি আরও বলেছেন যে, “তাদের সমস্যা অনেক বেশি, এবং তারা আলোচনা করতে চায়।” ট্রাম্পের মতে, ইরান যদি আগে আলোচনা করত, তাহলে তাদের এই পরিস্থিতি হতো না।
* হামলার ইঙ্গিত: যদিও ট্রাম্প সরাসরি ইরানের ওপর সামরিক হামলার বিষয়ে চূড়ান্ত কোনো ঘোষণা দেননি, তিনি বলেছেন, “আমি হামলা করতেও পারি, আবার নাও করতে পারি। কেউ জানে না আমি কী করব।” এই মন্তব্যগুলো ইরানের প্রতি তার কঠোর অবস্থান এবং সম্ভাব্য সামরিক পদক্ষেপের ইঙ্গিত বহন করে।
* ইসরায়েলের প্রতি সমর্থন: ট্রাম্প ইসরায়েলের প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহুর প্রতি তার পূর্ণ সমর্থন ব্যক্ত করেছেন এবং তাকে “চালিয়ে যাওয়ার” নির্দেশ দিয়েছেন, অর্থাৎ ইরানের ওপর হামলা বন্ধ না করার কথা বলেছেন।
সংক্ষেপে, ট্রাম্পের এই “গুড লাক” মন্তব্য একদিকে খামেনির দৃঢ় অবস্থানের প্রতি বিদ্রূপ এবং অন্যদিকে ইরানের প্রতি যুক্তরাষ্ট্রের কঠোর অবস্থান ও সম্ভাব্য সামরিক পদক্ষেপের একটি প্রচ্ছন্ন হুমকি হিসেবে দেখা হচ্ছে।