
যুক্তরাষ্ট্র ইরানে হামলা চালাবে কিনা, তা এখনো চূড়ান্তভাবে বলা কঠিন। পরিস্থিতি খুবই উত্তেজনাপূর্ণ এবং বিভিন্ন দিক থেকে চাপ রয়েছে। কিছু গুরুত্বপূর্ণ বিষয় বিবেচনা করা যেতে পারে:
* ট্রাম্পের অবস্থান: যুক্তরাষ্ট্রের সাবেক প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প ইরানের উপর হামলার পরিকল্পনা অনুমোদন করেছেন, কিন্তু চূড়ান্ত আদেশের জন্য অপেক্ষা করছেন। তিনি ইঙ্গিত দিয়েছেন যে, ইরান যদি তাদের পারমাণবিক কর্মসূচি পুরোপুরি বন্ধ না করে, তবে সামরিক পদক্ষেপ নেওয়া হতে পারে। যদিও তিনি বলেছেন, “আমি হামলা করতেও পারি, আবার নাও করতে পারি। কেউ জানে না আমি কী করব।” হোয়াইট হাউস জানিয়েছে যে, ট্রাম্প আগামী দুই সপ্তাহের মধ্যে এই বিষয়ে সিদ্ধান্ত নেবেন।
* ইসরায়েলের চাপ: ইসরায়েল ইরানের পারমাণবিক স্থাপনাগুলোতে আক্রমণ চালাচ্ছে এবং যুক্তরাষ্ট্রকে এই সংঘাতে সরাসরি যোগদানের জন্য চাপ দিচ্ছে। ইসরায়েল আশা করছে, আগামী ২৪-৪৮ ঘণ্টার মধ্যে মার্কিন সিদ্ধান্ত আসতে পারে।
* ইরানের হুঁশিয়ারি: ইরান স্পষ্টভাবে হুঁশিয়ারি দিয়েছে যে, যদি যুক্তরাষ্ট্র সরাসরি যুদ্ধে জড়িয়ে পড়ে, তবে তার “চড়া মূল্য” দিতে হবে। ইরানের উপ-পররাষ্ট্রমন্ত্রী সাঈদ খতিবজাদে বলেছেন, ইসরায়েলি হামলায় যুক্তরাষ্ট্র যোগ দিলে সমগ্র অঞ্চলের জন্য “নরক” নেমে আসবে।
* আন্তর্জাতিক চাপ ও উদ্বেগ: রাশিয়া ইসরায়েলকে ইরানের পারমাণবিক স্থাপনায় হামলা না চালানোর জন্য কঠোরভাবে সতর্ক করেছে, কারণ এতে পারমাণবিক বিপর্যয় ঘটতে পারে এবং মধ্যপ্রাচ্যে সংঘাত আরও বাড়তে পারে। যুক্তরাজ্যও যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ট্রাম্পকে এই সংঘাতে না জড়ানোর আহ্বান জানিয়েছে।
* অভ্যন্তরীণ বিভেদ: খোদ ট্রাম্প শিবিরেও ইরানের ওপর সম্ভাব্য হামলা নিয়ে বিভেদ রয়েছে। কিছু সমর্থক চান যুক্তরাষ্ট্র সরাসরি হস্তক্ষেপ করুক, আবার অনেকে যুদ্ধের বিরুদ্ধে।
* আলোচনার সম্ভাবনা: হোয়াইট হাউসের প্রেস সেক্রেটারি ক্যারোলিন লিভিট বলেছেন, ট্রাম্প ইরানের সঙ্গে আলোচনার যথেষ্ট সম্ভাবনা আছে বলে মনে করেন এবং সেই কারণেই তিনি চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নিতে দেরি করছেন। ইরানের পক্ষ থেকেও ইউরোপীয় ইউনিয়নের প্রতিনিধিদের সঙ্গে পারমাণবিক ইস্যুতে আলোচনার কথা বলা হয়েছে।
সংক্ষেপে, পরিস্থিতি অত্যন্ত অনিশ্চিত। ট্রাম্পের সিদ্ধান্ত, ইসরায়েলের চাপ, ইরানের প্রতিক্রিয়া এবং আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের ভূমিকা—এই সব কিছুই যুক্তরাষ্ট্র ইরানে হামলা চালাবে কিনা, তা নির্ধারণ করবে। এই মুহূর্তে কোনো পক্ষই সরাসরি যুদ্ধে জড়িয়ে পড়ার চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নেয়নি, তবে উত্তেজনা চরমে রয়েছে।