
ইসরায়েল অভিযোগ করেছে যে, চলমান সংঘাতে ইরান “নিষিদ্ধ” ক্লাস্টার বোমা ব্যবহার করছে। ইসরায়েলি প্রতিরক্ষা বাহিনী (IDF) দাবি করেছে যে, ইরান সম্প্রতি তেল আবিবে চালানো এক হামলায় এই শক্তিশালী মারণাস্ত্র ব্যবহার করেছে।
ক্লাস্টার বোমা একটি বিতর্কিত অস্ত্র। এটি এমন একটি বোমা যা নিক্ষেপের পর মাঝ আকাশে বিস্ফোরিত হয়ে অসংখ্য ছোট ছোট বোমা (বোম্বলেট) ছড়িয়ে দেয়। এর ফলে একটি বিস্তৃত এলাকায় ব্যাপক ধ্বংসযজ্ঞ ঘটে এবং বেসামরিক হতাহতের সংখ্যা বাড়ার আশঙ্কা থাকে। এই ছোট বোমাগুলোর কিছু সঙ্গে সঙ্গেই বিস্ফোরিত হয়, তবে অনেকগুলোই ফাটে না এবং মাটিতে সক্রিয় অবস্থায় পড়ে থাকে, যা দীর্ঘমেয়াদে বেসামরিক মানুষের জন্য মারাত্মক ঝুঁকি তৈরি করে।
আন্তর্জাতিক রেড ক্রস কমিটির তথ্য অনুযায়ী, ক্লাস্টার মিউনিশন প্রথম বিশ্বযুদ্ধের সময় ব্যবহৃত হয়। প্রাথমিকভাবে এটি শত্রুর ট্যাংক বা সেনাবাহিনীর বড় দলকে ধ্বংস করার জন্য তৈরি হয়েছিল। তবে এর নির্ভুলতার অভাব এবং বেসামরিক এলাকায় এর মারাত্মক প্রভাবের কারণে ১২০টিরও বেশি দেশ ২০০৮ সালের একটি আন্তর্জাতিক চুক্তির মাধ্যমে এর ব্যবহার নিষিদ্ধ করেছে। ইসরায়েল বা ইরান কেউই এই চুক্তিতে স্বাক্ষরকারী দেশ নয়।
ইসরায়েলের এই অভিযোগের বিষয়ে ইরানের বিপ্লবী গার্ডের পক্ষ থেকে এখনো কোনো আনুষ্ঠানিক মন্তব্য পাওয়া যায়নি। যদি এই অভিযোগ সত্য হয়, তবে এটি মধ্যপ্রাচ্যের চলমান সংঘাতকে আরও জটিল এবং অমানবিক পর্যায়ে নিয়ে যাবে বলে আন্তর্জাতিক মহল আশঙ্কা করছে।