
সাম্প্রতিক সংঘাতে ইরান প্রথমবারের মতো চতুর্থ প্রজন্মের ‘খাইবার’ ক্ষেপণাস্ত্র ব্যবহার করেছে বলে দাবি করেছে। ইরানের বিপ্লবী গার্ডের পক্ষ থেকে জারি করা এক বিবৃতিতে ইসরায়েলের ওপর চালানো সাম্প্রতিক হামলায় এই ক্ষেপণাস্ত্র ব্যবহারের কথা জানানো হয়েছে।
খাইবার ক্ষেপণাস্ত্রের কিছু বৈশিষ্ট্য:
* আনুষ্ঠানিক নাম: খাইবার ক্ষেপণাস্ত্রটি আনুষ্ঠানিকভাবে খোররামশহর-৪ (Khorramshahr-4) নামে পরিচিত। এটি দেশীয়ভাবে উৎপন্ন খোররামশাহর ক্ষেপণাস্ত্র সিরিজের চতুর্থ প্রজন্মের সংস্করণ।
* পাল্লা ও ওয়ারহেড: এটি ২,০০০ কিলোমিটার পাল্লার একটি মাঝারি পাল্লার ব্যালিস্টিক ক্ষেপণাস্ত্র। এটি দেড় হাজার কেজি ওজনের ওয়ারহেড বহনে সক্ষম, যা ইরানের মাঝারি পাল্লার ক্ষেপণাস্ত্রগুলোর মধ্যে অন্যতম ভারী ওয়ারহেড।
* গতি ও প্রযুক্তি: প্রযুক্তিগতভাবে খাইবারের সর্বোচ্চ গতি বায়ুমণ্ডলের বাইরে আনুমানিক ম্যাক ১৬ (শব্দের গতির ১৬ গুণ) এবং বায়ুমণ্ডলের ভেতরে আনুমানিক ম্যাক ৮। এর উচ্চ গতি এবং উড়ন্ত অবস্থাতেই নিয়ন্ত্রণ ও ওয়ারহেডের গতিপথ সামঞ্জস্য করার সক্ষমতার কারণে প্রচলিত আকাশ প্রতিরক্ষা ব্যবস্থা দিয়ে এটি আটকানো বেশ কঠিন।
* সক্ষমতা: এটি ইরানের ক্ষেপণাস্ত্র ভাণ্ডারের সর্বশেষ সংযোজনগুলির মধ্যে একটি এবং এর নির্ভুলতা পূর্ববর্তী ইরানি ক্ষেপণাস্ত্রগুলোর তুলনায় অনেক বেশি।
এই ক্ষেপণাস্ত্রের ব্যবহার মধ্যপ্রাচ্যে নতুন করে উত্তেজনা সৃষ্টি করতে পারে বলে বিশ্লেষকরা মনে করছেন।