
জাতীয় নাগরিক পার্টির (এনসিপি) মুখ্য সংগঠক (দক্ষিণাঞ্চল) হাসনাত আবদুল্লাহ অভিযোগ করেছেন যে, দুর্নীতি দমন কমিশনে (দুদক) কোনো দুর্নীতির অভিযোগ না থাকলেও, সেই অভিযোগ থেকে “ক্লিয়ারেন্স” নিতে সর্বনিম্ন ১ লাখ টাকা দিতে হয়। তিনি এই প্রক্রিয়াকে “দুদকের চা খাওয়ার বিল” হিসেবে উল্লেখ করেছেন।
হাসনাতের অভিযোগ, সম্প্রতি জাতীয় নাগরিক কমিটির যুগ্ম সদস্যসচিব ডা. মাহমুদা আলম মিতুর কাছ থেকে এই টাকা চাওয়া হয়েছে। তিনি মঙ্গলবার (২৪ জুন, ২০২৫) তার ভেরিফায়েড ফেসবুক আইডিতে ‘স্বাধীন বাংলাদেশে দুদকের চা খাওয়ার বিল ১ লাখ টাকা’ শিরোনামে একটি দীর্ঘ পোস্ট করেছেন এবং এর সাথে কয়েকটি কলরেকর্ডও ফাঁস করেছেন বলে দাবি করেছেন।
তার পোস্টে হাসনাত আবদুল্লাহ উল্লেখ করেছেন যে, মাহমুদা মিতুকে নাকি বলা হয়েছে যে তিনি একজন ডাক্তার, তার তো টাকার অভাব থাকার কথা না, তাই ১ লাখ টাকা দিয়ে ক্লিয়ারেন্স নিয়ে যেতে। তিনি আরও অভিযোগ করেন যে, টাকা দিতে অস্বীকৃতি জানালে একজন দুদক কর্মকর্তা আবার ফোন করে জানতে চান টাকা দেওয়া হবে কিনা এবং টাকা না দিলে “খবর করে ছেড়ে দেওয়া হবে” বলে হুমকি দেওয়া হয়।
হাসনাত আবদুল্লাহ এই ঘটনাকে “ফ্যাসিবাদের পতন” এবং “নতুন বাংলাদেশ” চাওয়ার প্রেক্ষাপটে দেখছেন। তিনি দুদকের দুর্নীতির বিচার দাবি করেছেন এবং বলেছেন যে, মাহমুদা মিতু সাহস করে ভিডিও করে রেখেছেন এবং অন্যায় ঘুষ দেননি। তবে তিনি আশঙ্কা প্রকাশ করেছেন যে, এমন কত সাধারণ মানুষ এই “চায়ের বিল” দিতে বাধ্য হয়েছে তা অজানা।
অন্যদিকে, দুদকের উপপরিচালক (জনসংযোগ) মো. আকতারুল ইসলাম স্বাক্ষরিত এক প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে হাসনাত আবদুল্লাহর এই বক্তব্যকে “যাচাই-বাছাইহীন” ও মানহানিকর বলে অভিহিত করেছেন। দুদক জানিয়েছে যে, একটি প্রতারক চক্র দুদকের চেয়ারম্যান, মহাপরিচালক বা কর্মকর্তা পরিচয়ে মামলা থেকে অব্যাহতি প্রদানের কথা বলে প্রতারণা করে আসছে এবং এর সাথে দুদকের কর্মকর্তাদের কোনো সম্পর্ক নেই। দুদক সবাইকে এ ধরনের প্রতারণা থেকে সতর্ক থাকতে এবং কোনো অনিয়মের তথ্য পেলে তাদের টোল ফ্রি হটলাইন-১০৬ নম্বরে জানানোর অনুরোধ জানিয়েছে।