
সম্প্রতি, যুক্তরাষ্ট্রের প্রতিরক্ষা মন্ত্রী পিট হেগসেথ বলেছেন যে, ইরান তার সমৃদ্ধ ইউরেনিয়ামের কোনো অংশ সরিয়ে নিয়েছে এমন কোনো গোয়েন্দা তথ্যের কথা তার জানা নেই। হোয়াইট হাউসের প্রেস সেক্রেটারি ক্যারোলিন লিভিটও একই কথা বলেছেন।
গত সপ্তাহান্তে যুক্তরাষ্ট্রের সামরিক বাহিনী ইরানের তিনটি পারমাণবিক স্থাপনার ওপর হামলা চালানোর পর এই প্রশ্ন উঠেছে যে, ইরান হামলার আগে তাদের ইউরেনিয়াম সরিয়ে নিতে পেরেছিল কিনা। যদিও মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প দাবি করেছেন যে ইরানের পারমাণবিক কর্মসূচি “সম্পূর্ণ ও সর্বাংশে ধ্বংস” হয়েছে, তবে প্রাথমিক মার্কিন গোয়েন্দা রিপোর্টে বলা হয়েছে যে, এই হামলা ইরানের পারমাণবিক কর্মসূচির গতি মাত্র কয়েক মাস পিছিয়ে দিয়েছে।
অন্যদিকে, কিছু গণমাধ্যম এবং ইসরায়েলি কর্মকর্তাদের সূত্র থেকে জানা যাচ্ছে যে, ইরান হামলার আগেই তাদের কিছু সমৃদ্ধ ইউরেনিয়াম নিরাপদ স্থানে সরিয়ে নিতে পেরেছিল। আন্তর্জাতিক আণবিক শক্তি সংস্থার (IAEA) মহাপরিচালক রাফায়েল গ্রোসিও ইঙ্গিত দিয়েছেন যে, হামলার আগে তার পরিদর্শক দল শেষবার ইউরেনিয়ামের মজুদ দেখেছিল এবং ইরান এই উপাদান সুরক্ষিত রাখার বিষয়টি কখনও গোপন করেনি।
তবে, মার্কিন কর্মকর্তাদের সর্বশেষ বিবৃতি অনুযায়ী, ইরানের ইউরেনিয়াম সরানোর কোনো সুনির্দিষ্ট প্রমাণ যুক্তরাষ্ট্রের কাছে নেই। এই বিষয়টি নিয়ে এখনও বিভিন্ন মহলে বিতর্ক এবং জল্পনা-কল্পনা চলছে।