রবিবার, ২৬ অক্টোবর ২০২৫, ০৯:০৬ পূর্বাহ্ন
ব্রেকিংনিউজ-
নভেম্বরের মধ্যেই গণভোট চাই: সিরাজগঞ্জে রফিকুল ইসলাম খান নির্বাচনের আগে সংঘাত অবশ্যম্ভাবী: মাহফুজ আলমের সতর্কবার্তা এবার সামিরাকে নিয়ে বিস্ফোরক তথ্য দিলেন সালমান শাহর ছোট ভাই শাহরান চৌধুরী গৃহকর্মীদের অধিকার রক্ষায় রাজনৈতিক সদিচ্ছা জরুরি: শিরীন পারভিন হক ইসকন ‘ভারতের র’র কর্মকাণ্ডে জড়িত’: অভিযোগ সিএইচটি সম্প্রীতি জোটের বিশ্বের সবচেয়ে সুন্দর স্টেডিয়ামের তালিকায় সিলেট আন্তর্জাতিক ক্রিকেট স্টেডিয়াম বিএনপি-জামায়াতের চোখে বিতর্কিত অন্তর্বর্তী সরকার উপদেষ্টারা গাজীপুরে নিখোঁজ ইমাম মুফতি মুহিব্বুল্লাহ মাদানী পরিবারের হাতে ফিরেছেন কর্যক্রম নিষিদ্ধ আ’লীগকে নির্বাচনে নিতে বিদেশি চাপ বারছে: প্রেস সচিব ভোটকেন্দ্রে ‘প্রথম প্রতিরক্ষা স্তর’ হবেন ৬ লাখ আনসার সদস্য: ডিজি সাজ্জাদ
Headline
Wellcome to our website...
ইসরাইলি প্রতিরক্ষামন্ত্রী বলেছেন, খামেনিকে হত্যা করার পরিকল্পনা ছিল, কিন্তু সুযোগ মেলেনি।
প্রকাশ কাল | শুক্রবার, ২৭ জুন, ২০২৫, ৫:১২ পূর্বাহ্ন

ইসরায়েলের প্রতিরক্ষামন্ত্রী ইসরায়েল কাৎজ সম্প্রতি এক সাক্ষাৎকারে বলেছেন যে, ইরানের সর্বোচ্চ নেতা আয়াতুল্লাহ আলী খামেনিকে হত্যা করার পরিকল্পনা তাদের ছিল, কিন্তু সেই সুযোগ তারা পাননি।
ইসরায়েলি প্রতিরক্ষামন্ত্রীর দাবি
বৃহস্পতিবার (২৬ জুন) ইসরায়েলি টেলিভিশন চ্যানেল ১৩-কে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে ইসরায়েল কাৎজ এই বিস্ফোরক দাবি করেন। তিনি বলেন, “আয়াতুল্লাহ খামেনিকে হত্যার পরিকল্পনা ছিল আমাদের। কিন্তু আমরা সুযোগ পাইনি। যদি তাকে আমরা দেখতে পেতাম, তাহলে তাকে আমরা হত্যা করতাম।”
সাক্ষাৎকারে তাকে প্রশ্ন করা হয়েছিল, এমন একটি হামলার জন্য কি যুক্তরাষ্ট্রের অনুমতির প্রয়োজন ছিল? এর জবাবে কাৎজ বলেন, “এসব ক্ষেত্রে আমাদের যুক্তরাষ্ট্রের অনুমতির প্রয়োজন হয় না।”
খামেনির প্রতিক্রিয়া ও পূর্বের পরিস্থিতি
এই মন্তব্যের ঠিক একই দিনে ইরানের সর্বোচ্চ নেতা আয়াতুল্লাহ আলী খামেনি জাতির উদ্দেশে ভাষণ দিয়েছেন। তিনি তার ভাষণে বলেছেন, “ভুয়া ইহুদিবাদী সরকারকে (ইসরায়েলকে) আমরা যুদ্ধে পরাজিত করেছি।” ধারণা করা হচ্ছে, যুদ্ধ শুরু হওয়ার পর খামেনি নিরাপদ আশ্রয়ে চলে গিয়েছিলেন এবং সেখান থেকেই তিনি এই বক্তব্য দিয়েছেন।
এর আগেও বিভিন্ন সময়ে ইসরায়েল ও ইরানের মধ্যে উত্তেজনা চরমে পৌঁছালে খামেনিকে হত্যার হুমকি দেওয়া হয়েছিল। গত ১৫ জুন, ২০২৫ তারিখে খবর বেরিয়েছিল যে, খামেনিকে হত্যার ইসরায়েলি পরিকল্পনা তৎকালীন মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প আটকে দিয়েছিলেন।
চলমান সংঘাতের প্রেক্ষাপট
ইসরায়েল ও ইরানের মধ্যে দীর্ঘদিনের শত্রুতা রয়েছে এবং সাম্প্রতিক সময়ে তা আরও তীব্র হয়েছে। ইসরায়েলের এই দাবি দুই দেশের মধ্যকার উত্তেজনাকে আরও বাড়িয়ে দেবে বলে মনে করা হচ্ছে। এটি আঞ্চলিক নেতৃত্ব, ভূরাজনৈতিক প্রভাব এবং আন্তর্জাতিক সহিংসতার এক নতুন পর্বে প্রবেশ করেছে, যেখানে উভয় দেশের উচ্চপর্যায়ের নেতৃত্ব যদি সরাসরি লক্ষ্যবস্তু হয়, তাহলে পরিস্থিতি অনিয়ন্ত্রিত হওয়ার আশঙ্কা আরও প্রবল।
এই ঘটনা মধ্যপ্রাচ্যের ভূ-রাজনৈতিক পরিস্থিতিতে কী ধরনের প্রভাব ফেলবে বলে আপনার মনে হয়?

এই পাতার আরো খবর
Our Like Page