বুধবার, ১০ সেপ্টেম্বর ২০২৫, ০২:২৮ পূর্বাহ্ন
ব্রেকিংনিউজ-
চাঁদাবাজ ও খুনিদের বাংলার ক্ষমতাসীটেও আর দেখতে চাই না: রেজাউল করীম বিএনপির নিশ্চিত জয়ের প্রভাবেই ভোট বানচালের ষড়যন্ত্র করা হচ্ছে: বেবী নাজনীন আধিপত্যবাদের বিরুদ্ধে লড়াই সবসময় চলতেই থাকবে: হাদি নারীবান্ধব ক্যাম্পাস গড়তে উমামা ফাতেমা দিয়েছেন একগুচ্ছ প্রতিশ্রুতি ‘ফ্যাসিস্ট পতনের পর তারেক রহমানকে সব দলই মাস্টারমাইন্ড হিসেবে স্বীকৃতি দিয়েছে’: সেলিম রেজা নুরের ওপর হামলার ঘটনায় যদি সরকার কোনো পদক্ষেপ না নেয়, তাহলে তাদের পিঠের চামড়া থাকবে না: ইশরাকের হুঁশিয়ারি চীনের বৃহত্তম সামরিক মহড়ায় একই মঞ্চে উপস্থিত শি জিনপিং, পুতিন ও কিম জং উন আন্তর্জাতিক মান অনুসারে উন্নীত করার লক্ষ্যে বায়তুল মোকাররম মসজিদ সংস্কার ও আধুনিকায়নের পথে দেশের সার্বভৌমত্ব ও গণতন্ত্র রক্ষার দায়িত্ব বিএনপির হাতে নিরাপদ: ডা. শাহাদাত নুরের ওপর হামলার প্রতিবাদে সারাদেশে বিক্ষোভের ডাক, প্রধান উপদেষ্টার পদত্যাগের দাবি উঠেছে
Headline
Wellcome to our website...
পবিত্র আশুরা উদযাপিত হবে ৬ জুলাই।
প্রকাশ কাল | শুক্রবার, ২৭ জুন, ২০২৫, ৫:০৩ পূর্বাহ্ন

পবিত্র আশুরা আগামী ৬ জুলাই উদযাপিত হবে। এটি মুসলিম উম্মাহর জন্য একটি অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ ও শোকাবহ দিন। প্রতি বছর হিজরি সনের মহররম মাসের দশম দিনে আশুরা পালিত হয়।
আশুরার তাৎপর্য
আশুরা ইসলামের ইতিহাসে বহু গুরুত্বপূর্ণ ঘটনার সাক্ষী। এর মধ্যে সবচেয়ে উল্লেখযোগ্য হলো কারবালার হৃদয়বিদারক ঘটনা, যেখানে হযরত মুহাম্মদ (সা.)-এর দৌহিত্র ইমাম হুসাইন (রা.) অন্যায়ের বিরুদ্ধে যুদ্ধ করতে গিয়ে শাহাদাতবরণ করেন। এই দিনে মুসলমানরা ইমাম হুসাইন (রা.) এবং তাঁর সঙ্গীদের আত্মত্যাগকে গভীর শ্রদ্ধার সাথে স্মরণ করে।
ঐতিহাসিক প্রেক্ষাপট
ইসলাম পূর্ব যুগ থেকেই আশুরার বিশেষ তাৎপর্য ছিল। বিভিন্ন ঐশী ঘটনা এই দিনের সাথে জড়িত। যেমন:
* হযরত নূহ (আ.)-এর মহাপ্লাবন থেকে মুক্তি।
* হযরত মূসা (আ.)-এর ফেরাউনের অত্যাচার থেকে বনি ইসরাইলকে উদ্ধার এবং ফেরাউনের সলিল সমাধি।
* হযরত আইয়ুব (আ.)-এর রোগমুক্তি।
* হযরত ইউনুস (আ.)-এর মাছের পেট থেকে মুক্তি।
এসব কারণে আশুরার দিনে রোজা রাখার প্রচলন ছিল, যা পরবর্তীতে রমজানের রোজা ফরজ হওয়ার পর সুন্নত হিসেবে পরিগণিত হয়।
উদযাপন ও করণীয়
আশুরার দিনে মুসলমানরা বিভিন্ন ধর্মীয় কার্যাবলীর মাধ্যমে দিনটি পালন করে। এর মধ্যে রয়েছে:
* নফল রোজা: অনেকেই আশুরার দিনে এবং এর আগে বা পরে (৯ ও ১০ মহররম অথবা ১০ ও ১১ মহররম) দুটি রোজা রাখেন।
* ইবাদত-বন্দেগী: নফল নামাজ, কোরআন তেলাওয়াত, জিকির-আজকার এবং দোয়া-মোনাজাতের মাধ্যমে আল্লাহ তায়ালার নৈকট্য লাভের চেষ্টা করা হয়।
* তাজিয়া মিছিল: শিয়া মুসলমানরা ইমাম হুসাইন (রা.)-এর শাহাদাতকে স্মরণ করে শোক মিছিল বা তাজিয়া বের করেন।
* দান-সদকা: গরীব-দুঃখীদের মাঝে দান-সদকা করা হয়।
এই দিনে মুসলমানদের উচিত কারবালার ঘটনা থেকে শিক্ষা নিয়ে অন্যায়, অবিচার ও জুলুমের বিরুদ্ধে সোচ্চার হওয়া এবং সত্য ও ন্যায়ের পথে অবিচল থাকা। পবিত্র আশুরা মুসলিম বিশ্বে শান্তি, সম্প্রীতি ও ত্যাগের মহিমা স্মরণ করিয়ে দেয়।

এই পাতার আরো খবর
Our Like Page