
থাইল্যান্ডের প্রধানমন্ত্রী পেতংতার্ন সিনাওয়াত্রার পদত্যাগের দাবিতে রাজধানী ব্যাংককে হাজার হাজার মানুষ বিক্ষোভ সমাবেশ করেছেন। এই বিক্ষোভের মূল কারণ হলো কম্বোডিয়ার সাবেক নেতা হুন সেনের সঙ্গে তার একটি ফোনালাপ ফাঁস হওয়া।
ফাঁস হওয়া এই ফোনালাপে প্রধানমন্ত্রী পেতংতার্নকে কম্বোডিয়ার নেতার প্রতি ‘তোষামোদ’ করতে এবং নিজ দেশের সামরিক কমান্ডারকে হেয় করতে শোনা যায় বলে অভিযোগ উঠেছে। বিক্ষোভকারীদের দাবি, এই ফোনালাপ থাইল্যান্ডের সার্বভৌমত্ব এবং সম্মানকে হুমকিতে ফেলেছে। তারা প্রধানমন্ত্রীর এমন মন্তব্যকে ‘রাষ্ট্রদ্রোহ’ হিসেবেও আখ্যায়িত করছেন।
এই ফোনালাপ ফাঁসের পর থেকেই থাইল্যান্ডে রাজনৈতিক অস্থিরতা শুরু হয়েছে। ক্ষমতাসীন জোট থেকে একটি প্রধান শরিক দল, ভুমজাইথাই পার্টি, জোট ত্যাগ করেছে, যা প্রধানমন্ত্রীর সংখ্যাগরিষ্ঠতাকে ঝুঁকিতে ফেলেছে। আগামী সপ্তাহে পার্লামেন্টে অনাস্থা ভোটের মুখোমুখি হওয়ার সম্ভাবনাও রয়েছে পেতংতার্ন সরকারের।
বিক্ষোভকারীরা, যাদের মধ্যে ‘ইয়েলো শার্ট’ নামে পরিচিত রাজতন্ত্রপন্থি ও সিনাওয়াত্রা পরিবারের বিরোধী দলগুলোর নেতারাও রয়েছেন, তারা বিজয় স্মৃতিস্তম্ভ এলাকায় জড়ো হয়ে থাইল্যান্ডের জাতীয় পতাকা ও “অশুভ প্রধানমন্ত্রী, বিদায় হও” লেখা প্ল্যাকার্ড প্রদর্শন করেন।
উল্লেখ্য, পেতংতার্ন সিনাওয়াত্রা সাবেক প্রধানমন্ত্রী থাকসিন সিনাওয়াত্রার মেয়ে এবং তিনি ২০২৩ সালে ফেউ থাই পার্টির ক্ষমতায় আসার পর প্রধানমন্ত্রী হয়েছিলেন। বর্তমান এই বিক্ষোভটি তার সরকারের বিরুদ্ধে সবচেয়ে বড় প্রতিবাদ বলে মনে করা হচ্ছে।