
বাংলাদেশের নির্বাচনী প্রচারণায় কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা (এআই)-নির্ভর ভিডিওর ব্যবহার বেড়েছে, বিশেষ করে গত জাতীয় নির্বাচনের আগে এর ব্যাপকতা দেখা গেছে। এটি প্রচারণায় নতুন মাত্রা যোগ করলেও ভুল তথ্য ও গুজব ছড়ানোর ঝুঁকিও তৈরি করছে।
এআই-নির্ভর ভিডিও ব্যবহারের বিভিন্ন দিক
* ডিপফেক ভিডিও: এআই ব্যবহার করে বিরোধীদলীয় নেতা বা অন্য কারো চেহারা ও কণ্ঠ নকল করে মিথ্যা তথ্য ছড়ানো হয়েছে।
* এআই-জেনারেটেড নিউজ অ্যাঙ্কর: ভার্চুয়াল অ্যাঙ্কর ব্যবহার করে ভুয়া সংবাদ ক্লিপ তৈরি করে রাজনৈতিক বার্তা প্রচার করা হয়েছে।
* প্রচারণামূলক ভিডিও: এআই ব্যবহার করে কাল্পনিক চরিত্র বা সাধারণ মানুষের মাধ্যমে পছন্দের দলের প্রতি সমর্থন জানিয়ে প্রচারণামূলক ভিডিও তৈরি হচ্ছে। অনেক সময় এসব ভিডিওতে এআই ব্যবহারের লেবেল থাকে না।
প্রভাব ও উদ্বেগ
* ভোটরদের বিভ্রান্তি: এআই-জেনারেটেড ভিডিও আসল ও ভুয়া ভিডিওর মধ্যে পার্থক্য করা কঠিন করে তোলে, যা ভোটারদের বিভ্রান্ত করতে পারে।
* ভুল তথ্য ছড়ানো: এটি রাজনৈতিক উত্তেজনা বৃদ্ধি এবং মেরুকরণ সৃষ্টি করতে পারে।
* গণতান্ত্রিক প্রক্রিয়ার জন্য হুমকি: বিশেষজ্ঞরা মনে করছেন, এআই-নির্ভর অপপ্রচার গণতান্ত্রিক প্রক্রিয়ার জন্য গুরুতর হুমকি।
* .এআই টুলস সহজলভ্য হওয়ায় এর অপব্যবহার বাড়ছে, এবং বড় প্রযুক্তি প্রতিষ্ঠানগুলো নীতিমালা ঘোষণা করলেও বাংলাদেশের মতো ছোট বাজারে এর ব্যবহার নিয়ন্ত্রণ করা কঠিন।
সামগ্রিকভাবে, বাংলাদেশে নির্বাচনী প্রচারণায় এআই-নির্ভর ভিডিওর ব্যবহার বৃদ্ধি একদিকে যেমন সুযোগ তৈরি করছে, তেমনি গুরুতর চ্যালেঞ্জও নিয়ে আসছে, বিশেষ করে ভুল তথ্য ছড়ানোর ক্ষেত্রে। এর অপব্যবহার রোধে সচেতনতা বৃদ্ধি এবং কার্যকর নীতিমালা প্রণয়ন জরুরি।