
ঝালকাঠির পূর্ব গুয়াটন এলাকায় শতাধিক বাবুই পাখির বাসা ধ্বংস ও ছানা হত্যার ঘটনায় দায়ের করা মামলার প্রধান আসামি মোবারক আলী ফকিরকে গ্রেফতার করেছে জেলা গোয়েন্দা পুলিশ (ডিবি)। রবিবার (২৯ জুন) সন্ধ্যায় পিরোজপুর জেলার নেছারাবাদ এলাকা থেকে তাকে গ্রেফতার করা হয়।
ঘটনার বিস্তারিত:
* ঘটনা: গত শুক্রবার (২৭ জুন) বিকেলে ঝালকাঠি সদর উপজেলার পূর্ব গুয়াটন এলাকায় একটি তালগাছ কেটে ফেলা হয়। এই গাছটিতে অসংখ্য বাবুই পাখির বাসা ছিল, যেখানে ডিম ও ছানা ছিল। গাছ কাটার সময় বাসাগুলো নিচে পড়ে যায়, ডিম ভেঙে যায় এবং শতাধিক ছানা মারা যায়।
* গুরুত্ব: এই তালগাছটি দীর্ঘকাল ধরে বাবুই পাখিদের নিরাপদ আশ্রয়স্থল ও প্রজনন কেন্দ্র হিসেবে পরিচিত ছিল।
* মামলা: এই অমানবিক ঘটনায় দুটি পৃথক মামলা দায়ের করা হয়েছে।
* প্রথমত, স্থানীয় ইউপি সদস্য মাসুদুর রহমান বাদী হয়ে সরকারি জায়গায় থাকা তালগাছ কাটার অভিযোগে মোবারক আলী ফকির, মিজানুর রহমান এবং ফারুক হোসেনকে আসামি করে ঝালকাঠি সদর থানায় ৩৭৯ ধারায় একটি মামলা করেন।
* দ্বিতীয়ত, বন বিভাগের পক্ষ থেকে বাবুই পাখির ছানা হত্যা ও ডিম ধ্বংস করার অভিযোগে বন্যপ্রাণী (সংরক্ষণ ও নিরাপত্তা) আইন, ২০১২ অনুযায়ী আদালতে আরও একটি মামলা করা হয়। এই মামলার বাদী ঝালকাঠি সামাজিক বনায়ন ও নার্সারি প্রশিক্ষণ কেন্দ্রের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মো. আরিফুর রহমান।
* গ্রেফতার: মামলার পর ঝালকাঠি ডিবি পুলিশ তিন ঘণ্টার মধ্যেই প্রধান আসামি মোবারক আলী ফকিরকে গ্রেফতার করতে সক্ষম হয়। তবে অপর দুই আসামি মিজানুর রহমান ও ফারুক হোসেন এখনও পলাতক রয়েছে।
* জনরোষ: এই ঘটনা সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ভাইরাল হওয়ার পর ব্যাপক জনমনে ক্ষোভের সৃষ্টি হয়। পরিবেশপ্রেমী ও সাধারণ মানুষ এই নিষ্ঠুর ঘটনার তীব্র নিন্দা জানিয়েছেন।
পুলিশ জানিয়েছে, তারা এই ঘটনার তদন্ত গুরুত্বের সঙ্গে করছে এবং পলাতক অপর আসামিদের গ্রেফতারের চেষ্টা চলছে।