
ব্রিটেন সফরে গাজা ও ইউক্রেন ইস্যুতে ব্রিটিশ সমর্থন চাইলেন ম্যাকরন
ফরাসি প্রেসিডেন্ট ইমানুয়েল ম্যাকরন তিন দিনের রাষ্ট্রীয় সফরে ব্রিটেনে এসে ফিলিস্তিন রাষ্ট্রকে স্বীকৃতি এবং ইউক্রেনকে সহায়তা দেওয়ার জন্য ব্রিটিশ সমর্থনের আহ্বান জানিয়েছেন। ব্রেক্সিটের পর এই প্রথম কোনো ইউরোপীয় নেতা হিসেবে তিনি ব্রিটেনে রাষ্ট্রীয় সফরে এলেন।
মঙ্গলবার (৮ জুলাই) স্থানীয় সময় ব্রিটিশ পার্লামেন্টের উভয় কক্ষে দেওয়া এক বিরল ভাষণে ম্যাকরন ফ্রান্স-যুক্তরাজ্য সম্পর্ক পুনরুজ্জীবনের ওপর গুরুত্বারোপ করেন। তিনি বলেন, বিশ্বে বড় পরিবর্তন আনতে ফ্রান্স ও ব্রিটেনকে একসাথে কাঁধে কাঁধ মিলিয়ে কাজ করতে হবে।
ম্যাকরন যুক্তরাষ্ট্র ও চীনের ওপর ‘অতিরিক্ত নির্ভরতা’ কমাতে ইউরোপীয় দেশগুলোকে একত্রে কাজ করার আহ্বান জানান। সফরটি অনুষ্ঠিত হয়েছে কিং চার্লস তৃতীয়ের আমন্ত্রণে।
রাজপরিবারের সদস্য প্রিন্স উইলিয়াম ও প্রিন্সেস ক্যাথরিন ম্যাকরনকে অভ্যর্থনা জানান। পরে তাঁরা ঘোড়ার গাড়িতে উইন্ডসর ক্যাসেলে যান।
ভাষণে ম্যাকরন ইউক্রেন ইস্যুতে ইউরোপীয় ঐক্যের প্রতিশ্রুতি পুনর্ব্যক্ত করেন এবং বলেন, “আমরা কখনোই ইউক্রেনকে একা ফেলে দেব না।” একই সঙ্গে তিনি গাজায় অবিলম্বে যুদ্ধবিরতির দাবি জানান এবং শান্তির একমাত্র পথ হিসেবে ফিলিস্তিন রাষ্ট্রের স্বীকৃতির পক্ষে ব্রিটিশ সমর্থন কামনা করেন।
তিনি আরও বলেন, প্রতিরক্ষা, অভিবাসন, জলবায়ু ও বাণিজ্যসহ নানা ইস্যুতে ফ্রান্স ও ব্রিটেনকে একযোগে কাজ করতে হবে। শিক্ষার্থী, গবেষক ও শিল্পীদের জন্য পারস্পরিক বসবাস সহজ করার পাশাপাশি কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা ও অনলাইনে শিশু সুরক্ষা ইস্যুতেও সহযোগিতা বাড়ানোর আহ্বান জানান ম্যাকরন।
তিনি বলেন, “আমাদের অর্থনীতি ও সমাজকে যুক্তরাষ্ট্র-চীনের দ্বৈত নির্ভরতা থেকে মুক্ত করতে হবে, না হলে আমরা ভবিষ্যতের হুমকিতে ঝুঁকিপূর্ণ থাকব।”
সূত্র: আল জাজিরা