
ঢাকার স্যার সলিমুল্লাহ মেডিকেল কলেজ (মিটফোর্ড) হাসপাতাল এলাকায় ভাঙাড়ি ব্যবসায়ী লাল চাঁদ ওরফে সোহাগ (৩৯) হত্যাকাণ্ডের প্রতিবাদে দেশের বিভিন্ন অঞ্চলে ছড়িয়ে পড়েছে বিক্ষোভ। শিক্ষার্থীসহ নানা সংগঠন বিক্ষোভ মিছিল ও প্রতিবাদ সমাবেশ আয়োজন করেছে।
শুক্রবার (১১ জুলাই) রাতে চট্টগ্রাম প্রেস ক্লাবের সামনে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সমাবেশে বক্তারা দোষীদের দ্রুত গ্রেপ্তার ও দৃষ্টান্তমূলক বিচারের দাবি জানান। তারা বলেন, দেশে নতুন করে কোনো ফ্যাসিবাদ কায়েম হতে দেওয়া হবে না। পরে একটি বিক্ষোভ মিছিল চেরাগি পাহাড় মোড় ঘুরে আবার প্রেস ক্লাবে গিয়ে শেষ হয়।
রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা জোহা চত্বর থেকে বিক্ষোভ মিছিল বের করেন। তারা স্পষ্ট করে বলেন, কোনো রাজনৈতিক দলকে সন্ত্রাস বা ফ্যাসিবাদ প্রতিষ্ঠার সুযোগ দেওয়া হবে না। আন্দোলনকারীরা জানান, জুলাই বিপ্লবের পর দেশে চাঁদাবাজি বরদাশত করা হবে না।
এদিকে, রংপুরের রোকেয়া বিশ্ববিদ্যালয় এবং কারমাইকেল কলেজের শিক্ষার্থীরাও খুন, চাঁদাবাজি ও সন্ত্রাসবাদের বিরুদ্ধে বিক্ষোভ করেছে। রাতে শিক্ষার্থীরা প্রধান ফটক থেকে মিছিল বের করে সমাবেশে অংশ নেন। বক্তারা বলেন, বিএনপি চাঁদাবাজি ও সন্ত্রাসের মাধ্যমে জুলাই বিপ্লবের চেতনাকে প্রশ্নবিদ্ধ করছে।
বরিশাল বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা বরিশাল-কুয়াকাটা মহাসড়ক অবরোধ করে বিক্ষোভ করেন। শেরে বাংলা হল থেকে মিছিল বের হয়ে অবরোধ গড়ে তোলে। পরে প্রশাসনিক ভবনের নিচতলায় অনুষ্ঠিত সমাবেশে বক্তারা বলেন, ৫ আগস্টের পর থেকে দেশের উন্নয়ন-প্রচেষ্টাকে বারবার বাধা দিচ্ছে বিএনপি ও তাদের অঙ্গসংগঠনগুলো।
মাওলানা ভাসানী বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক, শিক্ষার্থী এবং কর্মকর্তা-কর্মচারীরাও বিক্ষোভ ও বিচারের দাবিতে মিছিল করেন।
মুন্সীগঞ্জ শহরের কাচারি এলাকা থেকে মশাল মিছিল বের হয়, যাতে বিভিন্ন স্তরের ছাত্র-জনতা, সামাজিক ও রাজনৈতিক সংগঠনের নেতারা অংশ নেন। এছাড়া পটুয়াখালী বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়, মাদারীপুরের শিবচর ও ঝালকাঠিতেও প্রতিবাদ মিছিল ও সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়।