
ইসরায়েলের বিরুদ্ধে বিভিন্ন দেশ ইতোমধ্যেই কঠোর পদক্ষেপ নিয়েছে—ব্রাজিল এ উদ্যোগে অংশ নিয়েছে, ফ্রান্স ফিলিস্তিনকে রাষ্ট্র হিসেবে স্বীকৃতি দিয়েছে, আর ব্রিটেন ও কানাডা গাজায় আগ্রাসনের জন্য দায়ী ইসরায়েলি নেতাদের বিরুদ্ধে নিষেধাজ্ঞা আরোপ করেছে।
এমনকি ইসরায়েলের ভেতর থেকেও যুদ্ধবিরোধী অবস্থান স্পষ্ট হচ্ছে—সাবেক এক প্রধানমন্ত্রী গাজায় সংঘটিত যুদ্ধাপরাধের বিষয়টি স্বীকার করেছেন বলেও উল্লেখ করেন সোনিয়া গান্ধী।
এই প্রেক্ষাপটে তিনি বলেন, “গাজায় চলমান মানবিক বিপর্যয়ের সময় ভারত সরকারের নিরব দর্শক হয়ে থাকা জাতীয়ভাবে অত্যন্ত লজ্জাজনক।” ভারতের ইতিহাসে উপনিবেশবাদ, সাম্রাজ্যবাদ ও বর্ণবৈষম্যের বিরুদ্ধে দৃঢ় অবস্থানের কথা স্মরণ করিয়ে দিয়ে তিনি বলেন, আজকের এই নীরবতা সেই ঐতিহাসিক মূল্যবোধের অবমাননা, জাতীয় বিবেকের বিপর্যয় এবং সংবিধানিক আদর্শের প্রতি বিশ্বাসঘাতকতা।
সোনিয়া গান্ধী আরও বলেন, ভারতের সংবিধানের রাষ্ট্রীয় নীতির নির্দেশনা অনুযায়ী আন্তর্জাতিক শান্তি, ন্যায়বিচার ও আইনের প্রতি শ্রদ্ধাশীল থাকা এবং বিরোধ নিষ্পত্তিতে সক্রিয় ভূমিকা রাখা সরকারের কর্তব্য। কিন্তু, ইসরায়েলের মানবাধিকার লঙ্ঘনের বিরুদ্ধে সরকারের এই নিশ্চুপ অবস্থান সংবিধানিক দায়িত্ব থেকে স্পষ্ট অবহেলার নামান্তর।