রবিবার, ০৭ সেপ্টেম্বর ২০২৫, ০৩:৩৫ পূর্বাহ্ন
ব্রেকিংনিউজ-
চাঁদাবাজ ও খুনিদের বাংলার ক্ষমতাসীটেও আর দেখতে চাই না: রেজাউল করীম বিএনপির নিশ্চিত জয়ের প্রভাবেই ভোট বানচালের ষড়যন্ত্র করা হচ্ছে: বেবী নাজনীন আধিপত্যবাদের বিরুদ্ধে লড়াই সবসময় চলতেই থাকবে: হাদি নারীবান্ধব ক্যাম্পাস গড়তে উমামা ফাতেমা দিয়েছেন একগুচ্ছ প্রতিশ্রুতি ‘ফ্যাসিস্ট পতনের পর তারেক রহমানকে সব দলই মাস্টারমাইন্ড হিসেবে স্বীকৃতি দিয়েছে’: সেলিম রেজা নুরের ওপর হামলার ঘটনায় যদি সরকার কোনো পদক্ষেপ না নেয়, তাহলে তাদের পিঠের চামড়া থাকবে না: ইশরাকের হুঁশিয়ারি চীনের বৃহত্তম সামরিক মহড়ায় একই মঞ্চে উপস্থিত শি জিনপিং, পুতিন ও কিম জং উন আন্তর্জাতিক মান অনুসারে উন্নীত করার লক্ষ্যে বায়তুল মোকাররম মসজিদ সংস্কার ও আধুনিকায়নের পথে দেশের সার্বভৌমত্ব ও গণতন্ত্র রক্ষার দায়িত্ব বিএনপির হাতে নিরাপদ: ডা. শাহাদাত নুরের ওপর হামলার প্রতিবাদে সারাদেশে বিক্ষোভের ডাক, প্রধান উপদেষ্টার পদত্যাগের দাবি উঠেছে
Headline
Wellcome to our website...
জীবন্ত সাপ চিবিয়ে খেয়ে সাপুড়ের প্রাণ কেড়ে নিলেন ওঝা।
প্রকাশ কাল | বৃহস্পতিবার, ৩১ জুলাই, ২০২৫, ৩:০৩ পূর্বাহ্ন

সাপ ধরতে গিয়ে বিষাক্ত ছোবলে প্রাণ হারান কুড়িগ্রামের এক সাপুড়ে। তার ধরা কিং কোবরা সাপটি পরে কাঁচা চিবিয়ে খান আরেক ওঝা। চাঞ্চল্যকর এই ঘটনাটি ঘটে নাগেশ্বরী উপজেলার বল্লভেরখাস ইউনিয়নে।

স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, বুধবার (৩০ জুলাই) সকালে বল্লভেরখাস ইউনিয়নের ডাক্তারপাড়ার সাপুড়ে বয়েজ উদ্দিন সাপ ধরতে যান পাশের কালিগঞ্জ ইউনিয়নের কাপালিপাড়ায় ইমরান আলীর বাড়িতে। রান্নাঘরের একটি ইঁদুরের গর্তে বাসা বাঁধা কিং কোবরা সাপ এবং তার প্রায় ১৫-১৬টি বাচ্চা পাওয়া যায়। বাচ্চাগুলো ধরার পর বড় সাপটি ধরতে গেলে হঠাৎই বয়েজ উদ্দিনকে ছোবল মারে সাপটি। বস্তায় ভরার আগেই সাপটি তাকে দংশন করে।

প্রথমদিকে তেমন লক্ষণ দেখা না দিলেও বাড়িতে ফেরার পর তিনি বিষক্রিয়ায় নিস্তেজ হয়ে পড়েন। পরে তাকে ভূরুঙ্গামারী স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নেওয়া হলে চিকিৎসকরা মৃত ঘোষণা করেন।

মরদেহ বাড়িতে পৌঁছালে একে একে হাজির হন বিভিন্ন ওঝা ও সাপুড়ে। তাদের মধ্য থেকে ভূরুঙ্গামারীর বলদিয়া ইউনিয়নের ওঝা মোজাহার কিং কোবরা সাপটি ও বাচ্চাগুলো নিয়ে নেন। এরপর গাবতলা বাজারে জনসম্মুখে বড় সাপটি কাঁচা চিবিয়ে খেয়ে ফেলেন তিনি। এ দৃশ্য দেখতে বাজারে জড়ো হয় শত শত মানুষ।

মোজাহার স্থানীয়ভাবে ‘সাপখেকো মোজাহার’ নামে পরিচিত। তিনি সাপ ধরে ও সাপে কাটা রোগীদের ঝাড়ফুঁক করে থাকেন। তিনি জানান, বয়েজ উদ্দিনকে হাসপাতালে নেওয়ার আগেই তিনি খবর পান এবং সাপের প্রকার জেনে ধারণা করেন যে সে বাঁচবে না। পরবর্তীতে বয়েজ উদ্দিনের পরিবারের অনুরোধে তিনি ওই সাপটি নিয়ে বাজারে গিয়ে কাঁচা অবস্থায় সেটি খেয়ে ফেলেন। বাচ্চাগুলো পরে ছেড়ে দেবেন বলে জানান তিনি।

মোজাহার দাবি করেন, কাঁচা সাপ খাওয়া তার দীর্ঘদিনের অভ্যাস। এদিকে, চিকিৎসক মৃত ঘোষণা করলেও সন্ধ্যা পর্যন্ত বয়েজ উদ্দিনকে ঝাড়ফুঁক করে সুস্থ করার চেষ্টা চলতে থাকে বলে জানিয়েছেন স্থানীয়রা।

এই পাতার আরো খবর
Our Like Page