
আগামী ৩ আগস্ট রাজধানীর কেন্দ্রীয় শহীদ মিনার থেকে ‘নতুন বাংলাদেশের’ ইশতেহার ঘোষণা করা হবে বলে জানিয়েছেন জাতীয় নাগরিক পার্টির (এনসিপি) আহ্বায়ক নাহিদ ইসলাম।
তিনি জানান, বিচার সংস্কার ও নতুন সংবিধান প্রণয়নের দাবিতে সেদিন শহীদ মিনারে সমবেত হবেন তাঁরা এবং সেখান থেকেই নতুন পথচলার ঘোষণা দেওয়া হবে।
বুধবার সন্ধ্যা সাড়ে ৬টায় নরসিংদী পৌরসভা মোড়ে এনসিপির নরসিংদী শাখার উদ্যোগে আয়োজিত এক সমাবেশে এসব কথা বলেন তিনি।
নাহিদ ইসলাম বলেন, “২০২৪ সালের ১ জুলাই আমরা বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের ব্যানারে কোটা বাতিলের দাবিতে আন্দোলন শুরু করি। সেই আন্দোলন ধীরে ধীরে গণঅভ্যুত্থানে রূপ নেয়। এক বছরে নানা বাধা, ষড়যন্ত্র এবং দমন-পীড়ন এসেছে আমাদের পথে। আমাদের সংস্কার কার্যক্রম থামিয়ে দেওয়ার চেষ্টা হয়েছে, নতুন সংবিধান প্রণয়ন রোধ করা হয়েছে, এমনকি ফ্যাসিস্ট রাষ্ট্রপতি চুপ্পুকে অপসারণ করতেও বাধা দেওয়া হয়েছে।”
তিনি আরও বলেন, “আমরা কোনো দাবি ভুলিনি, পিছিয়েও যাইনি। আমরা সংগঠিত হচ্ছি, এবং জনগণের অধিকার আদায় করে ছাড়ব।”
নরসিংদীতে অনুষ্ঠিত গণঅভ্যুত্থান প্রসঙ্গে তিনি বলেন, “সেই আন্দোলনের ঢেউ ছড়িয়ে পড়েছিল সারা দেশে। আজও সন্ত্রাস ও চাঁদাবাজমুক্ত বাংলাদেশের দাবিতে আমাদের রাজপথে থাকতে হচ্ছে।”
নাহিদ ইসলাম আশাবাদ ব্যক্ত করে বলেন, “নরসিংদী, নারায়ণগঞ্জ ও গাজীপুরবাসী যদি শহীদ মিনারে উপস্থিত হয়, তবে দাবি আদায়ের শক্তি বহুগুণে বাড়বে। আমরা বিশ্বাস করি—ঢাকা শহীদ মিনার ঢেকে যাবে মানুষের ঢলে।”
তিনি আরও বলেন, “নরসিংদীর উন্নয়নে কাজ করতে চাই। এখানে ভূমিদস্যু, সন্ত্রাসী ও চাঁদাবাজদের দৌরাত্ম্য রয়েছে। তাদের আমরা নির্মূল করব।”
সমাবেশ শুরুর আগে বিকেল সোয়া ৫টার দিকে এনসিপির কেন্দ্রীয় নেতাদের নেতৃত্বে একটি পদযাত্রা শুরু হয় জেলখানা মোড় থেকে। পদযাত্রাটি শহরের প্রধান প্রধান সড়ক প্রদক্ষিণ করে পৌরসভা মোড়ে এসে শেষ হয়।
এর আগে দুপুরে নরসিংদী ক্লাবে ‘জুলাই আন্দোলনে’ শহীদ পরিবারের সদস্যদের সঙ্গে মতবিনিময় করেন এনসিপির কেন্দ্রীয় নেতারা। এ সময় তাঁরা শহীদ পরিবারের পাশে থাকার অঙ্গীকার ব্যক্ত করেন এবং তাদের খোঁজখবর নেন।
মতবিনিময় সভায় উপস্থিত ছিলেন এনসিপির আহ্বায়ক নাহিদ ইসলাম, মুখ্য সংগঠক (উত্তরাঞ্চল) সারজিস আলম, মুখ্য সমন্বয়ক নাসীরুদ্দীন পাটোয়ারী, সিনিয়র যুগ্ম সদস্য সচিব ডা. তাসনিম জারা, যুগ্ম আহ্বায়ক সায়োরার তুষার, কেন্দ্রীয় নেতারা ইয়াসমিন মিতু, দেলোয়ার আকন্দ সৌরভ, সাইফুল ইসলাম, ইমতিয়াজ জাহান বেলাল, রোবাট হোসেন, আব্দুল্লাহ আল ফয়সাল, এবং উত্তরাঞ্চলের সংগঠক অ্যাডভোকেট শিরিন আক্তার শেলীসহ বিভিন্ন জেলা ও উপজেলার নেতৃবৃন্দ।