
ইসলামী ছাত্রশিবিরের কেন্দ্রীয় কমিটির প্রকাশনা সম্পাদক সাদিক কায়েম বলেছেন, “ছাত্রলীগে লুকিয়ে থাকা শিবির কর্মীদের রক্ষার অভিযোগ সম্পূর্ণ মিথ্যা ও বিভ্রান্তিকর।” রোববার (৩ আগস্ট) রাতে নিজের সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে দেওয়া এক স্ট্যাটাসে তিনি এসব কথা বলেন।
স্ট্যাটাসে তিনি উল্লেখ করেন:
১. “বিপ্লব পরবর্তী সময়ে দুটি বিষয় ছিল প্রধান—একদিকে অপরাধীর বিচার, অন্যদিকে নিরপরাধদের হয়রানি রোধ। অনেকে জানিয়ে ছিলেন, তারা ছাত্রলীগে যুক্ত থাকলেও কোনো অপরাধে জড়িত নন, বরং ব্যক্তিগত আক্রোশে তাদের নাম মামলায় জুড়ে দেওয়া হয়েছে। এই ধরনের তথ্য যাচাই করতে আমি কয়েকজনকে ফরওয়ার্ড করেছিলাম—নির্বিচারে যেন নিরীহ কেউ ভিকটিম না হন।”
২. তিনি বলেন, “এনসিপি থেকে শুরু করে বিভিন্ন দল তখন পরস্পরের মধ্যে তথ্য শেয়ার করেই যাচাই করতো। মামলার তালিকা তৈরির ক্ষেত্রে পারস্পরিক আলোচনা ছিল স্বাভাবিক।”
৩. “স্ক্রিনশটে যাদের নাম আছে, তারা কেউই শিবিরের সঙ্গে যুক্ত নয়। ৫ আগস্টের পর তারা শিবিরের কোনো কর্মকাণ্ডেও অংশ নেননি। ফলে, ‘ছাত্রলীগে লুকিয়ে থাকা শিবিরকে বাঁচানো’—এই প্রচার একটি সাজানো নাটক।”
৪. সাঈদী নামের একজনকে মামলার হাত থেকে বাঁচাতে সাদিক কায়েম নাকি যোগাযোগ করেছেন—এই অভিযোগ প্রসঙ্গে তিনি বলেন, “সাঈদী অপরাধী—এবং তাকে বাঁচানোর প্রশ্নই ওঠে না।”
৫. মুহসিন হলের একজন ছাত্রের সঙ্গে মিথ্যা সম্পৃক্ততা নিয়ে তিনি বলেন, “ওই শাহাদাত নামে কাউকে আমি চিনিই না। মামলা হওয়ার পর কেউ একজন তার পক্ষে ফেসবুকে পোস্ট করলে আমি কেন তখন তাকে ফোন দেব? বরং মামলা হওয়ার আগেই ফোন দেওয়ার যুক্তি থাকতো।”
সাদিক কায়েম আরও লেখেন, “অনেকেই জীবনের কোনো এক পর্যায়ে সুবিধা নিতে শিবিরের সঙ্গে সাময়িক যোগাযোগ রাখেন, পরবর্তীতে ছাত্রলীগে যোগ দেন—এর দায় শিবির কিভাবে নেবে? তাহলে তো শিবির ত্যাগ করে অন্য দলে যাওয়া ব্যক্তিদের সব ভালো-মন্দ কাজের দায়ও শিবিরের ঘাড়ে বর্তাবে, যা অবান্তর।”
স্ট্যাটাসের মন্তব্য অংশে সাদিক অভিযোগ করেন, “যে স্ক্রিনশট প্রকাশ করা হয়েছে, সেটি আব্দুল কাদেরের সঙ্গে নয় বরং এনসিপির অন্য সদস্যদের সঙ্গে কথোপকথনের অংশ। সেই প্রাইভেট চ্যাটকে বিকৃতভাবে জনসম্মুখে প্রকাশ করে রাজনৈতিক বিশ্বাস ও সৌহার্দ্যের মারাত্মক ক্ষতি করা হয়েছে।”
তিনি সতর্ক করে বলেন, “এই ‘স্ক্রিনশট রাজনীতি’ চলতে থাকলে, শিবিরবিরোধী মুখোশধারী অনেকের ক্যারিয়ার ধসে পড়বে। রাজনৈতিক আলাপচারিতার গোপনতা ভেঙে দেওয়া দেশের রাজনীতির জন্য দীর্ঘমেয়াদে ক্ষতিকর।”