
কয়েকটি থানায় হামলা, ভাঙচুর ও অগ্নিসংযোগের ঘটনা ঘটে। সরকার পতনের পর যশোর জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক শাহীন চাকলাদারের মালিকানাধীন হোটেল ‘দ্য জাবির যশোর’-এ আগুন লাগিয়ে দেওয়া হয়। ওই ঘটনায় দগ্ধ হয়ে অন্তত ২৫ জনের মৃত্যু হয়, যাদের অধিকাংশই বিদেশি নাগরিক ছিলেন। এছাড়া গুরুতর আহত হন আরও ২০ জন। সে সময়ের গণমাধ্যম সূত্রে জানা যায়, ঢাকাসহ দেশের বিভিন্ন জেলায় সংঘর্ষ, সহিংসতা ও গুলিতে অন্তত ১০৯ জন নিহত হন এবং বহু মানুষ আহত হন।
এই সংকটময় পরিস্থিতিতে বিকেলে সেনাপ্রধান জেনারেল ওয়াকার-উজ-জামান সেনানিবাসে বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের নেতাদের সঙ্গে বৈঠক করেন। সন্ধ্যায় বঙ্গভবনে রাষ্ট্রপতির সঙ্গে অন্তর্বর্তীকালীন সরকার গঠন নিয়ে আলোচনায় বসেন সেনাপ্রধান, বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের নেতারা ও বিএনপি-জামায়াতসহ বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের প্রতিনিধিরা।
পরবর্তীতে বিকেলে জাতির উদ্দেশে দেওয়া ভাষণে সেনাপ্রধান বলেন, “দেশ এক সংকটকাল অতিক্রম করছে। আমরা সব রাজনৈতিক দলকে আলোচনায় ডেকেছিলাম এবং সিদ্ধান্ত নিয়েছি—একটি অন্তর্বর্তীকালীন সরকার গঠন করা হবে। আমি আপনাদের আশ্বস্ত করছি, সব হত্যাকাণ্ড ও অন্যায়ের বিচার করা হবে। সেনাবাহিনী ও সশস্ত্র বাহিনীর প্রতি আপনারা আস্থা রাখুন।”
জুলাইয়ের ১ তারিখে শুরু হওয়া টানা ৩৬ দিনের কোটা সংস্কার আন্দোলন শেষ হয় স্বৈরাচারী শেখ হাসিনার পতনের মধ্য দিয়ে। এই প্রজন্ম, যারা ১৯৭১ দেখেনি, তারা সৃষ্টি করেছে এক নতুন বাংলাদেশ—যেখানে গণতন্ত্র, অধিকার ও বৈষম্যহীন সমাজ প্রতিষ্ঠার পথ আরও প্রশস্ত হয়েছে।