
২০২৪ সালের আগস্ট থেকে ২০২৫ সালের জুন পর্যন্ত সময়ে মোট ৪৭১টি রাজনৈতিক সংঘাত ও সহিংসতায় ১২১ জন নিহত এবং ৫১৮৯ জন আহত হয়েছেন। ট্রান্সপারেন্সি ইন্টারন্যাশনাল বাংলাদেশ (টিআইবি) জানিয়েছে, এসব সংঘাতের মধ্যে বিএনপির সম্পৃক্ততা ৯২ শতাংশ, আওয়ামী লীগের ২২ শতাংশ, জামায়াতে ইসলামী’র ৫ শতাংশ এবং এনসিপির ১ শতাংশ রয়েছে।
সোমবার (৪ আগস্ট) দুপুরে রাজধানীর ধানমন্ডির মাইডাস সেন্টারে টিআইবির কার্যালয়ে ‘কর্তৃত্ববাদী সরকার পতন-পরবর্তী এক বছর: প্রত্যাশা ও প্রাপ্তি’ শীর্ষক প্রতিবেদন প্রকাশের সংবাদ সম্মেলনে এসব তথ্য তুলে ধরা হয়।
টিআইবি জানিয়েছে, কিছু সংঘাতের ঘটনায় একাধিক রাজনৈতিক দল জড়িত থাকার কারণে শতাংশের মোট যোগফল ১২০ শতাংশের বেশি দেখা গেছে। এতে বোঝা যায়, অনেক ঘটনায় দায় একাধিক দলের ওপর বর্তেছে।
সংস্থাটি আরো বলেছে, দেশের অস্থিতিশীল পরিস্থিতি নিয়ে রাজনৈতিক দলগুলো পারস্পরিক অভিযোগ তুলছে এবং অন্তর্বর্তী সরকারের ব্যর্থতার বিষয়েও নানা প্রশ্ন উঠেছে। সরকার পতনের পর আওয়ামী লীগের দখলে থাকা বিভিন্ন প্রতিষ্ঠান ও কার্যক্রম নিয়ন্ত্রণের চেষ্টা চলছে। একই সঙ্গে ঢাকাসহ বিভিন্ন এলাকায় প্রতিদিন প্রায় ২ কোটি ২১ লাখ টাকার চাঁদাবাজি, পাথর লুটপাট এবং বাজার-ঘাট, বালুমহল, জলমহল ইত্যাদি নিয়ন্ত্রণ নেওয়ার ঘটনা ঘটেছে।
এ সময়ে রাজনৈতিক উদ্দেশ্যপ্রণোদিত মামলা দায়ের, মব তৈরি, সড়ক অবরোধ, থানা ঘেরাও ও বিক্ষোভের ঘটনা নজরকাড়া ছিল।
টিআইবি পর্যবেক্ষণে উল্লেখ করেছে, কিছু রাজনৈতিক দলের আইনের প্রতি শ্রদ্ধার অভাব রয়েছে। আধিপত্য প্রতিষ্ঠা, দখলবাজি এবং চাঁদাবাজির সংস্কৃতি এখনও বিরাজমান। দলগুলোর অভ্যন্তরীণ নিয়ন্ত্রণ ব্যবস্থা দুর্বল থাকায় কর্মীদের বিরুদ্ধে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নিতে পারছে না। একই সঙ্গে সরকারের পক্ষ থেকে কিছু ক্ষেত্রে অনুকূলে থাকার প্রবণতা লক্ষ্য করা গেছে।
অবশেষে, টিআইবি জানিয়েছে যে, ব্যক্তিস্বার্থে বিভিন্ন দলের কর্মীদের মধ্যে ঐক্যের ঘটনা ঘটেছে।