
ফেব্রুয়ারিতে নির্বাচন অনুষ্ঠানের ঘোষণায় কেউ কেউ হতাশ হয়েছেন বলে মন্তব্য করেছেন বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর। বুধবার রাজধানীর গুলশানে দলের চেয়ারপারসনের কার্যালয়ে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে তিনি বলেন, ‘২০২৬ সালের ফেব্রুয়ারিতে নির্বাচন অনুষ্ঠানের ঘোষণাকে আমরা স্বাগত জানাই। বিএনপির বিশ্বাস, এই ঐতিহাসিক সিদ্ধান্ত দেশের রাজনৈতিক অচলাবস্থা কাটিয়ে গণতন্ত্রে উত্তরণের পথকে সুগম করবে। তবে এ ঘোষণায় কেউ কেউ হতাশ হয়েছেন। কিন্তু যারা সবসময়ই হতাশাবাদী, তাদের হতাশ হওয়াই স্বাভাবিক।’
সংবাদ সম্মেলনে বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য সালাহউদ্দিন আহমেদও উপস্থিত ছিলেন। কিছু রাজনৈতিক দলের এই ঘোষণায় খুশি না হওয়া প্রসঙ্গে মির্জা ফখরুল বলেন, ‘তারা এখনও আনুষ্ঠানিক কোনো বক্তব্য দেয়নি, বরং তাৎক্ষণিক প্রতিক্রিয়া জানিয়েছে। আমরা আশা করি, তারা ইতিবাচক মনোভাব নিয়ে গণতন্ত্রের পথে অগ্রসর হবে।’
সুষ্ঠু নির্বাচন বর্তমান আইন-শৃঙ্খলা পরিস্থিতিতে সম্ভব কি না—এমন প্রশ্নে মির্জা ফখরুল বলেন, ‘অবশ্যই সম্ভব। ১৯৯১ সালে ছাত্র গণ-অভ্যুত্থানের তিন মাস পরেই নির্বাচন হয়েছিল। পরবর্তী সময়েও কম সময়ের মধ্যে নির্বাচন আয়োজন সম্ভব হয়েছে। এখন আরও সম্ভব, কারণ জনগণই এই নির্বাচন চায়। জনগণই হবে সবচেয়ে বড় প্রহরী, যারা আইন-শৃঙ্খলা রক্ষায় ভূমিকা রাখবে।’
তিনি আরও বলেন, ‘দীর্ঘ ১৬ বছর ধরে এ দেশের মানুষ এক দমনমূলক, ফ্যাসিবাদী সরকারের বিরুদ্ধে লড়াই করে এসেছে। মানুষ জীবন দিয়েছে, গুম-খুনের শিকার হয়েছে, আহত হয়েছে, নিপীড়িত হয়েছে। শেখ হাসিনার নেতৃত্বাধীন সরকার পরিকল্পিতভাবে জনগণের ভোটাধিকার হরণ করে গত তিনটি নির্বাচনকে প্রহসনে পরিণত করেছে, যার ফলে গণতন্ত্র চরমভাবে বিপন্ন হয়েছে।’