
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের আবাসিক হলে বামপন্থী ছাত্র সংগঠন ছাড়া অন্য সব দলের রাজনীতি নিষিদ্ধের দাবি জানিয়েছেন ছাত্র ফেডারেশনের সাবেক সদস্য সচিব উমামা ফাতেমা। কবি সুফিয়া কামাল হলের প্রাধ্যক্ষ বরাবর দেওয়া এক দরখাস্তে তিনি এই দাবি তোলেন।
এর আগে শুক্রবার সকালে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ১৮টি হলে ছাত্রদলের আহ্বায়ক কমিটি ঘোষণার পর শিক্ষার্থীদের একাংশ ক্ষোভ প্রকাশ করেন। কারণ ২০২৪ সালের ১৭ জুলাই হলে সব ধরনের ছাত্ররাজনীতি নিষিদ্ধ হয়েছিল, এবং এ বিষয়ে নতুন কোনো সিদ্ধান্ত বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন নেয়নি। তবুও প্রথমবারের মতো একসঙ্গে সব হলে আনুষ্ঠানিকভাবে কমিটি ঘোষণা করে ছাত্রদল।
দরখাস্তে উমামা ফাতেমা লেখেন, গত বছরের জুলাই আন্দোলনের মাধ্যমে সুফিয়া কামাল হলে ছাত্রলীগ, ছাত্রদল, শিবির ও বাগছাসসহ চারটি সংগঠনের কার্যক্রম নিষিদ্ধ রাখার প্রতিশ্রুতি দেওয়া হয়েছিল। কিন্তু কিছু সংগঠন গোপনে কার্যক্রম চালিয়েছে এবং সর্বশেষ ছাত্রদল হলে সাত সদস্যের কমিটি ঘোষণা করেছে, যা চুক্তিভঙ্গের সমান।
ফেসবুক স্ট্যাটাসে তিনি শুক্রবার রাতের মধ্যে এই কমিটি স্থগিতের আল্টিমেটাম দেন। তবে দরখাস্তে বাম সংগঠনগুলোর কার্যক্রম নিষিদ্ধের বিষয়ে কোনো মন্তব্য ছিল না, যদিও হলে তাদেরও উপস্থিতি ও কমিটি রয়েছে।
উল্লেখ্য, ছাত্ররাজনীতি নিষিদ্ধ হওয়ার পর প্রথম আনুষ্ঠানিকভাবে হলে কমিটি দেয় বামপন্থী ছাত্র ইউনিয়ন, ২৬ মে ২০২৫ তারিখে। তখন কোনো প্রতিবাদ শোনা যায়নি।
এ বিষয়ে এনসিপির দক্ষিণাঞ্চল সংগঠক হামজা মাহবুব বিশ্ববিদ্যালয়ের একটি ফেসবুক গ্রুপে লেখেন— “উমামা ফাতেমা হলে বাম রাজনীতি ছাড়া অন্য সব রাজনীতি চান না। এটা কেমন কথা? হিপোক্রেসি এট ইট’স পিক!”