
মার্কিন সম্পর্ক ও সিন্ধু নদে ভারতের বাঁধ নির্মাণ সম্পন্ন হলে সেখানে ১০টি মিসাইল নিক্ষেপের হুমকির পর আবারও তীব্র হয়ে উঠেছে ভারত-পাকিস্তান সম্পর্ক। সীমান্তে এক দফা উত্তেজনায় এক ভারতীয় সেনা নিহত হয়েছেন।
এই প্রেক্ষাপটে পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী শাহবাদ শরীফ দেশের ৭৮তম স্বাধীনতা দিবসে সেনাবাহিনীর নতুন শাখা রকেট ফোর্স কমান্ড গঠনের ঘোষণা দেন। আধুনিক প্রযুক্তিসম্পন্ন এই বাহিনী সব দিক থেকে শত্রুপক্ষকে আঘাত হানতে সক্ষম হবে। জানা গেছে, নতুন এই সামরিক শাখায় বিপুল পরিমাণ প্রচলিত মিসাইল ও রকেট অন্তর্ভুক্ত থাকবে, যার মধ্যে ফাতেহ সিরিজসহ আরও উন্নত মিসাইল ব্যবস্থা থাকবে। রকেট ফোর্স কমান্ড পাকিস্তান আর্মি স্ট্র্যাটেজিক ফোর্স কমান্ডের সমান্তরালে কাজ করবে, তবে এখানে পারমাণবিক অস্ত্রের পরিবর্তে থাকবে কেবল প্রচলিত মিসাইল ও রকেট।
বিশ্লেষকদের মতে, এই উদ্যোগ মূলত ভারতের ব্রহ্মোস, প্রহরী ও অগ্নি সিরিজের মতো দূরপাল্লার মিসাইল ব্যবস্থার পাল্টা প্রস্তুতি। পাকিস্তানের এই নতুন কমান্ড চীনের পিএলএ রকেট ফোর্সের মডেলে গড়ে তোলা হচ্ছে, যা স্বল্প, মাঝারি ও দীর্ঘপাল্লার মিসাইল ব্যবহারে সক্ষম। চীনের তৈরি ৫০ কিমি পাল্লার এইচ-এন-ওয়ান ক্রুজ মিসাইলসহ একাধিক ব্যালিস্টিক মিসাইলও পাকিস্তানের হাতে রয়েছে, যা পূর্বে ভারতের দিকে নিক্ষেপ করা হয়েছিল।
রকেট ফোর্স গঠনকে সামরিক সক্ষমতা বৃদ্ধির আরেকটি বড় পদক্ষেপ হিসেবে অভিহিত করে শাহবাদ শরীফ বলেন, “মিথ্যা অভিযোগের ভিত্তিতে বিনা প্ররোচনায় পাকিস্তানে হামলা চালিয়েছে ভারত।” তিনি সেনাপ্রধান আসিম মনিরসহ উচ্চপদস্থ সামরিক কর্মকর্তাদের ধন্যবাদ জানিয়ে বলেন, “মাত্র চার দিনেই ভারতের অহংকার ধুলোয় মিশে গেছে।” পাকিস্তানি সেনাদের বীরত্বের প্রশংসা করে তিনি যোগ করেন, “যে জাতি জীবন বাজি রাখতে প্রস্তুত, তাকে কখনো পরাজিত করা যায় না।”
এসময় পাকিস্তানের পরমাণু শক্তির কথাও স্মরণ করেন শাহবাদ শরীফ। তিনি জুলফিকার আলী ভুট্টো, ড. আব্দুল কাদের খান এবং সেনাবাহিনীকে ধন্যবাদ জানিয়ে বলেন, “আমাদের পরমাণু অস্ত্র কোনো আগ্রাসনের জন্য নয়, বরং প্রতিরক্ষার জন্যই।”