রবিবার, ০৭ সেপ্টেম্বর ২০২৫, ০৩:২২ পূর্বাহ্ন
ব্রেকিংনিউজ-
চাঁদাবাজ ও খুনিদের বাংলার ক্ষমতাসীটেও আর দেখতে চাই না: রেজাউল করীম বিএনপির নিশ্চিত জয়ের প্রভাবেই ভোট বানচালের ষড়যন্ত্র করা হচ্ছে: বেবী নাজনীন আধিপত্যবাদের বিরুদ্ধে লড়াই সবসময় চলতেই থাকবে: হাদি নারীবান্ধব ক্যাম্পাস গড়তে উমামা ফাতেমা দিয়েছেন একগুচ্ছ প্রতিশ্রুতি ‘ফ্যাসিস্ট পতনের পর তারেক রহমানকে সব দলই মাস্টারমাইন্ড হিসেবে স্বীকৃতি দিয়েছে’: সেলিম রেজা নুরের ওপর হামলার ঘটনায় যদি সরকার কোনো পদক্ষেপ না নেয়, তাহলে তাদের পিঠের চামড়া থাকবে না: ইশরাকের হুঁশিয়ারি চীনের বৃহত্তম সামরিক মহড়ায় একই মঞ্চে উপস্থিত শি জিনপিং, পুতিন ও কিম জং উন আন্তর্জাতিক মান অনুসারে উন্নীত করার লক্ষ্যে বায়তুল মোকাররম মসজিদ সংস্কার ও আধুনিকায়নের পথে দেশের সার্বভৌমত্ব ও গণতন্ত্র রক্ষার দায়িত্ব বিএনপির হাতে নিরাপদ: ডা. শাহাদাত নুরের ওপর হামলার প্রতিবাদে সারাদেশে বিক্ষোভের ডাক, প্রধান উপদেষ্টার পদত্যাগের দাবি উঠেছে
Headline
Wellcome to our website...
যুক্তরাষ্ট্র জানিয়েছে, ভারত ও পাকিস্তানের মধ্যে চলমান যুদ্ধবিরতি যেকোনো মুহূর্তে ভেঙে যেতে পারে।
প্রকাশ কাল | সোমবার, ১৮ আগস্ট, ২০২৫, ৫:৫৪ পূর্বাহ্ন

যুক্তরাষ্ট্রের পররাষ্ট্রমন্ত্রী মার্কো রুবিও বলেছেন, ভারত ও পাকিস্তানের মধ্যে যুদ্ধবিরতি বজায় রাখা অত্যন্ত কঠিন এবং এটি যেকোনো মুহূর্তে ভেঙে যেতে পারে। রুবিও বলেন, “যুদ্ধবিরতির সবচেয়ে বড় জটিলতা হলো সেটি বজায় রাখা। আমরা প্রতিদিন নজর রাখছি পাকিস্তান ও ভারতের মধ্যে কী ঘটছে।”

রোববার (১৮ আগস্ট) মার্কিন সম্প্রচারমাধ্যম এনবিসি নিউজে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে রুবিও বলেন, যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প দুই প্রতিবেশী পরাশক্তির মধ্যে সম্ভাব্য পারমাণবিক সংঘাত এড়াতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেছেন। তিনি রাশিয়া–ইউক্রেন যুদ্ধের উদাহরণ টেনে বলেন, “অস্ত্রবিরতি তখনই কার্যকর হয় যখন উভয় পক্ষ গুলি চালানো বন্ধে সম্মত হয়। ইউক্রেনে তিন বছর ধরে চলা যুদ্ধের মতো পরিস্থিতিতে অস্ত্রবিরতিও দ্রুত ভেঙে যেতে পারে। আমাদের লক্ষ্য কেবল অস্ত্রবিরতি নয়, বরং এমন এক শান্তিচুক্তি যা বর্তমান ও ভবিষ্যতে সংঘাত প্রতিরোধ করবে।”

ফক্স বিজনেসকে দেওয়া আরেক সাক্ষাৎকারে রুবিও আবারও ট্রাম্পের ভূমিকাকে স্বীকৃতি দিয়ে বলেন, “আমরা ভাগ্যবান যে আমাদের একজন প্রেসিডেন্ট আছেন যিনি শান্তিকে অগ্রাধিকার দিয়েছেন। আমরা তা দেখেছি কম্বোডিয়া, থাইল্যান্ড, ভারত–পাকিস্তান, রুয়ান্ডা ও কঙ্গোতে। বিশ্বজুড়ে যেখানে সুযোগ আছে আমরা শান্তি প্রতিষ্ঠার চেষ্টা চালাই।”

প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প ১০ মে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে দাবি করেছিলেন, দীর্ঘ আলোচনার পর যুক্তরাষ্ট্রের মধ্যস্থতায় ভারত ও পাকিস্তান “তাৎক্ষণিক পূর্ণাঙ্গ” যুদ্ধবিরতিতে পৌঁছেছে। এরপর থেকে প্রায় ৪০ বার তিনি পুনরায় বলেছেন যে, তিনি ভারত–পাকিস্তান সংঘাত মিটিয়েছেন এবং দুই দেশকে আশ্বস্ত করেছেন যে, সংঘাত বন্ধ করলে যুক্তরাষ্ট্র তাদের সঙ্গে বড় অঙ্কের বাণিজ্য করবে।

গত শুক্রবার রুশ প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিনের সঙ্গে বৈঠকের দিনও ট্রাম্প একই দাবি পুনর্ব্যক্ত করেন এবং দিল্লির রাশিয়ার তেল কেনার প্রসঙ্গ তোলেন। ট্রাম্প বলেন, “ভারত ও পাকিস্তান যুদ্ধবিমান ভূপাতিত করছিল, যা পারমাণবিক পর্যায়ে চলে যেতে পারত। আমি তা ঠেকিয়েছি। যুদ্ধ খুবই ঝুঁকিপূর্ণ ছিল, এবং আমি সেটি এড়ানোর চেষ্টা করি। যুক্তরাষ্ট্রের শক্তি আমি সেই কাজে ব্যবহার করেছি।”

অন্যদিকে পাকিস্তানও প্রকাশ্যে যুক্তরাষ্ট্রের দাবির সঙ্গে সুর মিলিয়েছে এবং ট্রাম্পকে কৃতিত্ব দিয়েছে। যুদ্ধের পর পাকিস্তানের সেনাপ্রধান আসিম মুনির দুইবার যুক্তরাষ্ট্র সফর করেছেন। এ সময় ওয়াশিংটন ইসলামাবাদের সঙ্গে তেল চুক্তির ঘোষণাও দিয়েছে।

এই পাতার আরো খবর
Our Like Page