
ইউক্রেন যুদ্ধ থামিয়ে স্থায়ী শান্তি প্রতিষ্ঠার লক্ষ্যে যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের সঙ্গে বৈঠকে বসেছেন ইউরোপীয় নেতারা। এ সময় উপস্থিত ছিলেন ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেনস্কিও। সোমবার (স্থানীয় সময়) হোয়াইট হাউসে অনুষ্ঠিত ওই বৈঠক শেষে ওভাল অফিসে এক যৌথ সংবাদ সম্মেলনে ট্রাম্প বলেন, “বিশ্বে আমি ছয়টি যুদ্ধ থামিয়েছি। ইউক্রেন যুদ্ধ বন্ধ সহজ হবে ভেবেছিলাম, কিন্তু এটা সবচেয়ে কঠিন। তবুও আমি আত্মবিশ্বাসী, আমরা সমাধান খুঁজে পাব।”
তিনি আরও বলেন, “আজকের বৈঠকই শেষ নয়। মানুষ মারা যাচ্ছে, আমরা তা বন্ধ করতে চাই। আমি বিশ্বাস করি, পুতিনও যুদ্ধ শেষ করতে চান।” সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে ট্রাম্প স্পষ্ট করে বলেন, “এই যুদ্ধ শেষ হবে। জেলেনস্কি চান, পুতিনও চান, গোটা বিশ্ব ক্লান্ত। আমরা যুদ্ধবিরতি নয়, সরাসরি শান্তিচুক্তির দিকে যাব। শান্তিচুক্তিই একমাত্র সঠিক পথ।”
ইউক্রেনের নিরাপত্তা নিয়ে আশ্বস্ত করে ট্রাম্প বলেন, “আমরা তাদের সর্বোচ্চ সুরক্ষা দেব, খুব ভালো নিরাপত্তা দেব। আশা করছি ইতিবাচক ফল আসবে।” তিনি জানান, ইউরোপের সাতজন শীর্ষ নেতা এই প্রক্রিয়ার সঙ্গে যুক্ত আছেন। জেলেনস্কি ট্রাম্পের প্রচেষ্টার প্রশংসা করে বলেন, “হত্যাযজ্ঞ থামাতে এবং যুদ্ধ বন্ধে আপনার উদ্যোগ আমরা কৃতজ্ঞতার সঙ্গে গ্রহণ করছি।”
বৈঠকের মধ্যেই ট্রাম্প ফোনে কথা বলেন রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিনের সঙ্গে। ইউক্রেন যুদ্ধ বন্ধে তিন দিন আগে আলাস্কায় সরাসরি বৈঠক করেছিলেন ট্রাম্প–পুতিন। এবার হোয়াইট হাউসে ইউরোপীয় নেতাদের সঙ্গে আলোচনার মাঝপথেই ট্রাম্প তাঁকে ফোন করেন। এক ইইউ কূটনীতিক রয়টার্সকে জানান, ফোনালাপ শেষে আবারও বৈঠক শুরু হয়। যদিও ট্রাম্প আগে জানিয়েছিলেন, বৈঠক শেষে পুতিনকে ফোন করবেন। ক্রেমলিন জানিয়েছে, ট্রাম্প–পুতিনের মধ্যে প্রায় ৪০ মিনিট কথা হয়েছে।
হোয়াইট হাউসে ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট জেলেনস্কিকে স্বাগত জানান ট্রাম্প। সাধারণত সামরিক পোশাকে দেখা গেলেও এদিন জেলেনস্কিকে কালো স্যুট ও শার্টে দেখা যায়। তাঁকে দেখে ট্রাম্প বলেন, “আমরা ইউক্রেনীয়দের ভালোবাসি।”