
সাংবাদিক ইলিয়াস হোসাইন বলেছেন, প্রথম আলোর সাংবাদিক মঞ্জুর কাদের জিয়া ও মতিকে গ্রেপ্তার করা হলে ১৫ আগস্ট তারকাদের শোক প্রকাশের পেছনের রহস্য উন্মোচিত হবে। তার মতে, এবারের ১৫ আগস্টে যেভাবে বিপুল সংখ্যক তারকা শোক জানিয়েছে, অতীতে কখনোই এতটা মাতম দেখা যায়নি। এমনকি যেসব তারকা সাধারণত রাজনৈতিক বিষয়ে প্রকাশ্যে কিছু বলেন না বা শোকবার্তা দেন না, তারাও এবার প্রতিকূল পরিস্থিতি সত্ত্বেও পোস্ট করেছেন। অথচ ২০২৪ সালের ১৫ আগস্টেও তাদের বেশিরভাগই কোনো শোকবার্তা দেননি।
তিনি মনে করেন, এর পেছনে নিখুঁতভাবে সাজানো একটি পরিকল্পনা ছিল, যার মাধ্যমে তারকাদের একযোগে বঙ্গবন্ধুকে নিয়ে মাতম করতে উৎসাহিত করা হয়েছে।
মঙ্গলবার (১৯ আগস্ট) নিজের ভেরিফায়েড ফেসবুক পেজে দেওয়া পোস্টে ইলিয়াস হোসাইন আরও লিখেছেন, “এই রহস্য উদঘাটন না করলে আওয়ামীবিরোধী প্রতিটি দলকে চড়া মূল্য দিতে হবে। মুজিবকে সামনে রেখে তারা মূলত আওয়ামী ফ্যাসিবাদকে মানুষের কাছে সহনশীল করে উপস্থাপন করতে চাইছে।”
তার দাবি, এই পরিকল্পনায় বড় অঙ্কের বাজেট খরচ হয়েছে এবং পুরো পরিকল্পনার মাস্টারমাইন্ড ছিলেন যুক্তরাষ্ট্রপ্রবাসী হাসিনার সাবেক ডেপুটি প্রেস সেক্রেটারি আশরাফুল ইসলাম খোকন। এ কাজে তার সঙ্গে ঘনিষ্ঠভাবে যুক্ত ছিলেন নিউইয়র্কভিত্তিক একটি অখ্যাত বাংলা পত্রিকার উপস্থাপক খালেদ মহিউদ্দিন এবং অভিনেতা জায়েদ খান।
বাংলাদেশে অর্থ বণ্টনের দায়িত্বে ছিলেন প্রথম আলোর সাংবাদিক মঞ্জুর কাদের জিয়া, তার স্ত্রী ও গায়িকা কোনাল এবং ইউটিউবার তৌহিদ আফ্রিদি। ইলিয়াসের মতে, বাংলাদেশে তারকাদের মূল ভরসা যুগিয়েছে প্রথম আলো। উদাহরণ হিসেবে তিনি উল্লেখ করেন, অখ্যাত অভিনেতা আলভীকে হঠাৎ করে সাক্ষাৎকারে সামনে এনে মুজিব ও মুক্তিযুদ্ধের সঙ্গে সম্পর্কিত বক্তব্য প্রচার করা হয়, যা অন্য তারকাদেরও উৎসাহিত করেছে। যেসব তারকা এবার শোক জানিয়েছে, তাদের অধিকাংশই মেরিল-প্রথম আলো পুরস্কারপ্রাপ্ত।
তিনি আরও বলেন, আমেরিকায় থাকা খোকন, মহিউদ্দিন বা জায়েদ খানকে হয়তো ধরা কঠিন হবে। তবে প্রথম আলোর জিয়া-মতি, আফ্রিদি এবং শোক জানানো তারকাদের জিজ্ঞাসাবাদ করলেই প্রকৃত রহস্য উদঘাটিত হবে।