২০১৯ সালের শেষ ডাকসু নির্বাচনে শামসুন্নাহার হলের ভিপি হিসেবে নির্বাচিত হন শেখ তাসনিম আফরোজ ইমি। সেবার তিনি স্বতন্ত্র প্যানেল থেকে জয়ী হয়েছিলেন। এবার ইমি বাম গণতান্ত্রিক ছাত্র জোটের টিকিটে ডাকসুর ভিপি পদে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন।
তবে এবার তার একটি বিতর্কিত বক্তব্য সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ভাইরাল হয়েছে। ২০১৯ সালে ডাকসুতে নির্বাচিত হওয়ার পর ইমি এক টক শোতে জানিয়েছেন, তিনি পতিত স্বৈরাচার—তৎকালীন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে আজীবন ডাকসু সদস্য হিসেবে দেখতে চান।
সেবার এই প্রস্তাব উত্থাপিত হওয়ার পর তৎকালীন ডাকসু ভিপি নুরুল হক নুর এর বিরোধিতা করেছিলেন। তবে ইমি নুরের বিরোধিতার বিপরীতে সায় দিয়েছিলেন। ওই টক শোতে, যেখানে উপস্থিত ছিলেন নুরুল হক নুর ও তৎকালীন সাধারণ সম্পাদক গোলাম রব্বানী, ইমি বলেন, “আমার হলে কিছু নির্বাচনী প্রক্রিয়া সুষ্ঠু হয়নি, তা মানতে হবে। তবে যেহেতু মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী ছিলেন এবং তার আন্তরিকতা আমাদের ডাকসু নির্বাচনের সুষ্ঠু আয়োজন নিশ্চিত করেছে, তাই অন্তত কৃতজ্ঞতার স্বরূপ তাকে ডাকসুর আজীবন সদস্য ঘোষণা করা উচিত।”
পরবর্তীতে সেই বছরের ৩০ মে ডাকসুর দ্বিতীয় কার্যনির্বাহী সভায় শেখ হাসিনাকে আজীবন সদস্য হিসেবে ঘোষণা করা হয়। তবে সেই সিদ্ধান্তে ভিপি নুরের স্বাক্ষর ছিল না এবং সমর্থন পাননি তৎকালীন সমাজসেবা সম্পাদক ও বর্তমান এনসিপির সদস্য সচিব আখতার হোসেন।
এবার ইমি বাম গণতান্ত্রিক ছাত্র জোট থেকে ডাকসুর ভিপি পদে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন। তবে ২০১৯ সালের তার সেই বক্তব্য সামাজিক মাধ্যমে পুনরায় ভাইরাল হওয়ায় ইমি সম্প্রতি ফেসবুকে একটি স্ট্যাটাস দিয়েছেন। তিনি লিখেছেন, “১৯ সালে শেখ হাসিনাকে ডাকসুর আজীবন সদস্য করার ব্যাপারে আমার বক্তব্যের কিছু খন্ডিত অংশ প্রচার হচ্ছে। অনেকেই আমার বর্তমান অবস্থান জানতে চাচ্ছেন। আমি পরিষ্কারভাবে জানাতে চাই—আমি নিরপরাধ মানুষ এবং ছাত্রখুনের নির্দেশদাতার সর্বোচ্চ বিচার চাই। ফুলস্টপ।”