
ভারত থেকে যদি সত্যিই ‘অবৈধ বাংলাদেশিদের’ ফেরত পাঠানোর উদ্যোগ নেওয়া হয়, তবে প্রথমেই সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে ফেরত পাঠানো উচিত—এমন মন্তব্য করেছেন হায়দরাবাদের এমপি ও অল ইন্ডিয়া মজলিস-ই-ইত্তেহাদুল মুসলিমিনের (এআইএমআইএম) প্রধান আসাদউদ্দিন ওয়েইসি।
ভারতের ইংরেজি দৈনিক দ্য ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেস-এর আয়োজিত ‘আইডিয়া এক্সচেঞ্জ’ অনুষ্ঠানে তিনি বলেন, “আমরা কেন বাংলাদেশের ক্ষমতাচ্যুত প্রধানমন্ত্রীকে এ দেশে আশ্রয় দিয়ে রেখেছি? তাকেও ফেরত পাঠানো হোক। তিনি তো বাংলাদেশি, তাই না?”
ওয়েইসি অভিযোগ করেন, ভারতে একজন বাংলাদেশিকে রাখা হয়েছে, যিনি বিভিন্ন বক্তব্য ও বিবৃতির মাধ্যমে সমস্যা তৈরি করছেন। অথচ পশ্চিমবঙ্গের মালদা ও মুর্শিদাবাদের দরিদ্র বাংলাভাষী ভারতীয়দের পুনে থেকে বিমানে কলকাতায় এনে সীমান্তের নো-ম্যানস ল্যান্ডে ছেড়ে দেওয়া হচ্ছে। তিনি প্রশ্ন তোলেন, “ভারতে যে কেউ বাংলা ভাষায় কথা বললেই কি বাংলাদেশি হয়ে যাবে? এ থেকেই বোঝা যায়, দেশে বিদেশাতঙ্ক ছড়ানো হচ্ছে।”
তিনি আরও জানান, বিহারে ভোটার তালিকা নিয়েও অনিয়ম হচ্ছে। ওয়েইসির ভাষায়, “নির্বাচন কমিশনের নির্দেশে সন্দেহভাজন মনে হলে নাগরিকত্ব আইন ১৯৫৫ অনুযায়ী কর্তৃপক্ষকে জানানো হয়। কিন্তু এতে মুসলিম ভোটারদের নামই বেশি বাদ পড়ছে।”
এসময় ওয়েইসি মধ্যপ্রাচ্যের ইস্যুতে নীরব থাকার জন্য মোদি সরকারকে সমালোচনা করেন। তিনি বলেন, “গাজায় গণহত্যা চলছে, অথচ সরকার এ নিয়ে কিছুই বলছে না। বরং মোদির সরকার প্রকাশ্যে নেতানিয়াহুকে সমর্থন করছে।”
সংখ্যালঘুদের অধিকার প্রসঙ্গেও তিনি ক্ষোভ প্রকাশ করে বলেন, “ভারতের রাজনৈতিক দলগুলো এখন এ বিষয়ে চুপ হয়ে গেছে। তারা ভয় পাচ্ছে। যদিও সংখ্যালঘু অধিকার নিয়ে নীরবতা নতুন কিছু নয়, তবে ২০১৪ সালের পর থেকে পরিস্থিতি আরও ভিন্ন আকার নিয়েছে।”