
প্রধান উপদেষ্টার প্রেস সচিব শফিকুল আলম তার ব্যক্তিগত ভেরিফায়েড ফেসবুক অ্যাকাউন্টে এক স্ট্যাটাসে বলেছেন, যুক্তরাষ্ট্রের নিউইয়র্কে বাংলাদেশ কনস্যুলেটে সরকারি সফরের সময় অন্তর্বর্তী সরকারের তথ্য ও সম্প্রচার উপদেষ্টা মাহফুজ আলমকে নিষিদ্ধ আওয়ামী লীগের পক্ষ থেকে হয়রানির চেষ্টা নিন্দনীয়। আমি এ ঘটনার তীব্র নিন্দা জানাই।
তিনি বলেন, মতপ্রকাশের স্বাধীনতা, সমাবেশের অধিকার ও শান্তিপূর্ণ প্রতিবাদ—এগুলো গণতন্ত্রের মৌলিক ভিত্তি, যা যুক্তরাষ্ট্রের সংবিধানে সুরক্ষিত। তবে এই অধিকার সবসময় দায়িত্বশীলতা ও পারস্পরিক শ্রদ্ধার সঙ্গে ব্যবহার করতে হবে।
শফিকুল আলম আরও উল্লেখ করেন, যারা এ ধরনের ঘটনায় জড়িত, তাদের ভেবে দেখা উচিত কেন বাংলাদেশে তাদের রাজনৈতিক কর্মকাণ্ড নিষিদ্ধ হয়েছে। আতঙ্ক সৃষ্টি, সহিংস ও ধ্বংসাত্মক আচরণই তার কারণ। একই আচরণের পুনরাবৃত্তি নিউইয়র্কেও হয়েছে।
তিনি স্পষ্ট করে বলেন, সহিংসতা কোনো প্রতিবাদের মাধ্যম নয়, ভয় দেখানো মতপ্রকাশের স্বাধীনতা নয় এবং বিশৃঙ্খলা কখনো গণতন্ত্র হতে পারে না। প্রতিবাদ করতে হবে মর্যাদা ও দায়িত্বশীলতার সঙ্গে, বৈরিতা দিয়ে নয়। মনে রাখা জরুরি, ভিন্নমতের অধিকার পবিত্র, যা সংরক্ষিত হয়েছে গত বছরের গণঅভ্যুত্থানে প্রাণ দেওয়া মানুষদের রক্ত ও ত্যাগের মাধ্যমে।
তার ভাষায়, কোনো আন্দোলনের শক্তি উচ্চস্বরে চিৎকার বা সহিংসতায় নয়, বরং শৃঙ্খলা, মর্যাদা ও দায়িত্বশীলতায় নির্ধারিত হয়। অতীত ও বর্তমানের ভুল থেকে শিক্ষা নিতে হবে। সন্ত্রাসী আচরণ কোনো পথ নয়। দায়িত্বশীল হতে হবে, নতুবা আবারও আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের কাছে প্রমাণিত হবে কেন একটি সত্যিকারের মুক্ত বাংলাদেশের জন্য বিপ্লবই একমাত্র পথ ছিল।