শুক্রবার, ২৪ অক্টোবর ২০২৫, ১১:২৭ পূর্বাহ্ন
ব্রেকিংনিউজ-
আইজিপির বাহারুল আলমের সঙ্গে মার্কিন দূতের সাক্ষাৎ প্রলোভনে পড়া মুসলিম তরুণ-তরুণীর দায় শুধু প্রলোভনকারীর নয় শায়খ আহমাদুল্লাহ: ধর্ষণের ঘটনা ‘প্রেম’ বলে হালকা করা দুর্ভাগ্যজনক ১৯৭১ সালের মুক্তিযুদ্ধসহ অতীতের ভুলের জন্য বিনা শর্তে ক্ষমা চাইল জামায়াতের আমির মানবতাবিরোধী অপরাধে হাসিনাসহ তিনজনের বিরুদ্ধে মামলার বিচার এনসিপি ও জামায়াতকে প্রধান উপদেষ্টার আশ্বস্ত: নিরপেক্ষ নির্বাচনের প্রতিশ্রুতি প্রধান উপদেষ্টার কাছে বিসিএস নিয়োগে ৪ দফা দাবি পেশ করেছে এনসিপি মুশফিকুল ফজল আনসারীকে নিয়ে ন্যান্সির আবেগঘন স্ট্যাটাস ভাইরাল প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক ড. ইউনূসের সঙ্গে জার্মান রাষ্ট্রদূতের সাক্ষাৎ তত্ত্বাবধায়ক ফিরলে সংসদের ক্ষমতা খর্ব হবে কি না—আদালতে প্রধান বিচারপতির প্রশ্ন
Headline
Wellcome to our website...
নুরের আশঙ্কা: আফ্রিদিকে গ্রেফতার করলে সরকারের বিরুদ্ধে বিদেশি চাপ বাড়বে
প্রকাশ কাল | মঙ্গলবার, ২৬ আগস্ট, ২০২৫, ৩:০৬ পূর্বাহ্ন

হত্যা মামলায় গ্রেফতার হওয়া মাই টিভির মালিক নাসির উদ্দিন সাথী ও তার ছেলে কালচারাল ফ্যাসিস্ট তৌহিদ আফ্রিদির প্রসঙ্গে ডাকসুর সাবেক ভিপি ও গণ অধিকার পরিষদের সভাপতি নুরুল হক নুর বলেছেন, এ ঘটনায় সরকারের ওপর দেশি-বিদেশি চাপ বৃদ্ধি পাবে।

সোমবার (২৫ আগস্ট) রাতে বাংলা এডিশনের এক প্রতিবেদনে নুর ও তৌহিদ আফ্রিদির ঘনিষ্ঠ সম্পর্কের খবর প্রকাশের পরপরই নুর সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে এ বিষয়ে একটি পোস্ট দেন।

সেই পোস্টে নুর অভিযোগ করেন, মাই টিভি দখলের জন্য পরিকল্পিতভাবে কিছু ব্যক্তি যোগসাজশে নাসির উদ্দিন সাথী ও তৌহিদ আফ্রিদিকে গ্রেফতার করিয়েছে। এর আগে নগদ ৫ কোটি টাকা বা শেয়ারের বিনিময়ে সমঝোতার চেষ্টা করা হলেও ব্যর্থ হওয়ায়, ডিজিটাল ও ফিজিক্যাল চাপ সৃষ্টি করে তাদের গ্রেফতার করানো হয়েছে।

তিনি প্রশ্ন তোলেন, যাত্রাবাড়ী থানার ছাত্র হত্যা মামলায় এক বছর পর তাদের আসামি করা হলো কেন? মামলার বাদী আদৌ জানেন কারা এ মামলার আসামি? তৌহিদ আফ্রিদি বা তার বাবা হত্যার সাথে জড়িত—এটি কি প্রমাণ করা সম্ভব? যদি আফ্রিদির বিরুদ্ধে আওয়ামী লীগের সঙ্গে সম্পৃক্ত কোনো কর্মকাণ্ডে অভিযোগ থাকে, তবে সেসব নির্দিষ্ট ঘটনায় মামলা করা যেত। তাহলে কেন ভিত্তিহীনভাবে এই হত্যা মামলায় তাদের গ্রেফতার করা হলো?

নুর আরও বলেন, হঠাৎ তৈরি হওয়া ‘ডিজিটাল ও ফিজিক্যাল মব’-এর চাপে প্রশাসন কিছু অযৌক্তিক সিদ্ধান্ত নিচ্ছে। এর ফলে প্রশাসন ও রাষ্ট্র উভয়ই ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে। গণমাধ্যম মালিক, ব্যবসায়ী বা সেলিব্রেটিদের এভাবে ঢালাওভাবে গ্রেফতার করা হলে দেশি-বিদেশি মানবাধিকার সংগঠনগুলো তা অন্যায়ের উদাহরণ হিসেবে তুলে ধরবে। এতে প্রকৃত অপরাধীরাও সুযোগ নেবে এবং সরকারের ওপর আন্তর্জাতিক চাপ বাড়বে। সেই চাপ সামাল দিতে গিয়ে সরকার ফ্যাসিবাদবিরোধী শক্ত অবস্থান থেকেও পিছিয়ে আসতে বাধ্য হতে পারে।

তিনি আরও বলেন, এতে কারও প্রকৃত লাভ হচ্ছে না; বরং এসব পদক্ষেপ ফ্যাসিবাদের ফেরার সুযোগ তৈরি করছে। তাই মাই টিভি দখলের উদ্দেশ্যে প্রশাসনের ওপর চাপ সৃষ্টি করে যারা এই অপকর্ম ঘটিয়েছে, তাদের মুখোশ উন্মোচন করে আইনের আওতায় আনা উচিত।

এই পাতার আরো খবর
Our Like Page