
বাংলাদেশ বিমান বাহিনীকে আধুনিকায়নের অংশ হিসেবে চীনের তৈরি অত্যাধুনিক জে-১০সি মাল্টিরোল কম্ব্যাট এয়ারক্রাফট কেনার বিষয়ে আগ্রহ দেখিয়েছে সরকার। সম্প্রতি বেইজিং সফরে অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক মোহাম্মদ ইউনুস এ বিষয়ে চীনের প্রেসিডেন্ট সি জিনপিং-এর সঙ্গে আলোচনা করেন। বৈঠকে চীনের পক্ষ থেকেও ইতিবাচক সাড়া মেলে।
সরকারি সূত্রে জানা গেছে, প্রাথমিকভাবে ১২টি জে-১০সি কেনার পরিকল্পনা রয়েছে। ‘ভিগোরাস ড্রাগন’ খ্যাত এই চতুর্থ প্রজন্মের যুদ্ধবিমান সুপারসনিক গতিতে উড্ডয়ন করতে সক্ষম। আকাশ থেকে আকাশে ও আকাশ থেকে স্থলে আক্রমণ চালানো ছাড়াও ২০০ কিলোমিটার দূরের লক্ষ্যবস্তুতে নির্ভুল হামলার ক্ষমতা রয়েছে এতে। উন্নত রাডার, ড্রোন ও শত্রুপক্ষের যোগাযোগ ব্যবস্থা অকার্যকর করার মতো প্রযুক্তিও সংযোজিত রয়েছে।
প্রতিরক্ষা বিশেষজ্ঞদের মতে, জে-১০সি যুক্ত হলে বাংলাদেশের বিমান বাহিনীর সামরিক সক্ষমতা উল্লেখযোগ্যভাবে বাড়বে। পাকিস্তান ইতোমধ্যেই এই যুদ্ধবিমান সফলভাবে ব্যবহার করছে। তবে ভূরাজনৈতিক প্রেক্ষাপটে চীনমুখী প্রতিরক্ষা সহযোগিতা যুক্তরাষ্ট্র ও পশ্চিমা দেশগুলোর জন্য অস্বস্তির কারণ হতে পারে বলেও বিশ্লেষকরা মনে করছেন।
নীতি নির্ধারকরা বলছেন, কেনাকাটা বাস্তবায়িত হলে বাংলাদেশের প্রতিরক্ষা সক্ষমতা নতুন মাত্রা পাবে। তবে পশ্চিমা বিশ্বের সঙ্গে কূটনৈতিক ভারসাম্য রক্ষায় সরকারকে সতর্কতার সঙ্গে এগোতে হবে।