
জাতীয় নাগরিক পার্টির (এনসিপি) কেন্দ্রীয় যুগ্ম আহ্বায়ক সারোয়ার তুষার জানিয়েছেন, ১/১১-এর সময় বিএনপির বর্তমান ভারপ্রাপ্ত চেয়ারপারসন তারেক রহমানকে গ্রেপ্তার করে রিমান্ডে নেওয়া হয় এবং গুরুতরভাবে নির্যাতন চালানো হয়। এ সময় তার মেরুদণ্ড ভেঙে দেওয়া হয় এবং তাকে রাজনীতি না করার মুচলেকা দিতে বাধ্য করা হয়।
রোববার সকালে নিজের ফেসবুক ওয়ালে তিনি লিখেছেন—
“১/১১-এর সময়ে বিএনপির বর্তমান ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানকে গ্রেপ্তার করে রিমান্ডে নিয়ে গুরুতরভাবে আহত করা হয়, মেরুদণ্ড ভেঙে দেওয়া হয় এবং তার কাছ থেকে মুচলেকা নেওয়া হয় যে তিনি আর রাজনীতি করবেন না। কাজটি শুরু হয়েছিল তাকে দুর্নীতিবাজ হিসেবে চিত্রিত করে তার বিশ্বাসযোগ্যতা নষ্ট করার মাধ্যমে।
তখন আমাদের মহান সিভিল সোসাইটি এর কোনো প্রতিবাদ করেনি। বরং তাদের মধ্যে কেউ কেউ লিখেছিলেন—
‘I am against torture. Nothing justifies torture. This is a principled stand, there are no ifs and buts. But why is it that when I see a recent picture of Tarique Rahman, son of ex-prime minister Khaleda Zia, his face screwed up in sheer agony, I feel no empathy, no compassion? Why do I not allow myself to dwell on his pain? Why do I shut it out, turn to another news item, or turn the pages of the newspaper?’
তখন তারেক জিয়ার কোনো মানবাধিকার ছিল না। তাকে নির্যাতন করে মেরুদণ্ড ভেঙে দেওয়া ‘জাস্টিফায়েড’ মনে করা হতো। সেই সিভিল সোসাইটি আজকে মহা বিএনপিপ্রেমী হিসেবে পরিচিত। কিন্তু এর মানে এই নয় যে তারা নিজেদের ভুল বুঝে থিসিস পরিবর্তন করেছে; তাদের চিন্তাধারা, মানসিকতা ও মতাদর্শ আগের মতোই আছে। শুধু আওয়ামী লীগের অনুপস্থিতিতে তারা চায় তাদের অনুমিত প্রগতিশীলতার ঝাণ্ডা বিএনপি বহন করুক।
ইতিহাসের পুনরাবৃত্তি ঘটছে। তখন তারেক জিয়া ও বিএনপির চরিত্রকে ক্ষুণ্ন করা হয়েছিল। এখন ছাত্রনেতা ও তরুণ রাজনৈতিক নেতাদের বৈধতা হরণ করা হচ্ছে। তাদের ওপর অত্যাচারের সময় সিভিল সোসাইটি চুপ থাকে। কিন্তু গণহত্যাকারী আওয়ামী লীগের কোনো আসামি যদি আদালত প্রাঙ্গণে সামান্য ডিম ছুঁড়ে মারে, তখন তারা একযোগে মানবাধিকারের হাহাকার শুরু করে।”