কিউটিভি ডেস্ক:
০৪ অক্টোবর ২০২৫:নির্বাচনী তফসিল ঘোষণার আগে নভেম্বরে তিস্তা মহাপরিকল্পনার কাজ শুরুর দাবিতে রংপুরে জোরালো আন্দোলনের ঘোষণা দিয়েছে তিস্তা নদী রক্ষা আন্দোলন। সংগঠনটি তিনদিনের কর্মসূচি ঘোষণা করেছে, যাতে অংশ নেবে রংপুর বিভাগের ৫ জেলার তিস্তাপাড়ের লক্ষাধিক মানুষ, নদী অধিকার কর্মী ও রাজনৈতিক দলের নেতৃবৃন্দ। শান্তিপূর্ণ কর্মসূচির পরও দাবি না মানা হলে কঠোর আন্দোলনের হুঁশিয়ারি দেওয়া হয়েছে।
শুক্রবার সকাল সাড়ে ১১টায় রংপুর চেম্বার অব কমার্স অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রির মিলনায়তনে সংবাদ সম্মেলনে সংগঠনের প্রধান সমন্বয়কারী ও বিএনপি’র সাংগঠনিক সম্পাদক অধ্যক্ষ আসাদুল হাবীব দুলু জানান, তিস্তা মহাপরিকল্পনা নিয়ে এখনো চীনের সঙ্গে আর্থিক চুক্তি হয়নি। অর্থনৈতিক সম্পর্ক বিভাগ চীনের সঙ্গে আলোচনা চালাচ্ছে, তবে চলতি বছরের শেষে প্রযুক্তি ও ঋণ চুক্তি সম্পন্ন হতে পারে। তিনি বলেন, ২০২৬ সালের ফেব্রুয়ারিতে জাতীয় সংসদ নির্বাচন হওয়ার আগে নভেম্বরে অন্তর্বর্তী সরকারকে নিজস্ব কোষাগারের ২ হাজার ৪১৫ কোটি টাকা দিয়ে কাজ শুরু করতে হবে। নির্বাচিত সরকার পরবর্তীতে কাজের ধারাবাহিকতা রক্ষা করবে। এজন্য আগামী একনেক সভায় জরুরি অর্থ বরাদ্দ নিশ্চিত করার আহ্বান জানান তিনি।
ঘোষিত কর্মসূচির মধ্যে রয়েছে ৫ অক্টোবর রংপুর বিভাগের ৫ জেলায় পদযাত্রা শেষে জেলা প্রশাসকের মাধ্যমে সরকার প্রধানের কাছে স্মারকলিপি প্রদান, ৯ অক্টোবর উপজেলা পর্যায়ে গণমিছিল ও সমাবেশ এবং ১৬ অক্টোবর তিস্তা নদী বেষ্টিত ১০টি জেলার ১১টি স্থানে মশাল প্রজ্বলন কর্মসূচি। এসব কর্মসূচির পরও দাবি না মানা হলে আরও কঠোর আন্দোলন ঘোষণা করা হবে বলে জানান দুলু।
তিনি উল্লেখ করেন, এর আগে তিস্তা নদী রক্ষা আন্দোলনের পক্ষ থেকে ৪৮ ঘণ্টা ধরে নদীর ১১৫ কিলোমিটার এলাকায় অবস্থান কর্মসূচি পালন করা হয়। এতে বিএনপি’র ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান ভার্চুয়ালি বক্তব্য রাখেন এবং বিএনপিসহ বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের কেন্দ্রীয় নেতা ও নদী আন্দোলন কর্মীরা অংশ নেন।
সংবাদ সম্মেলনে উপস্থিত ছিলেন জেলা বিএনপি’র আহ্বায়ক সাইফুল ইসলাম, সদস্য সচিব আনিছুর রহমান লাকু, মহানগর বিএনপি’র আহ্বায়ক সামসুজ্জামান সামু, জিয়া মঞ্চের সহ-সাংগঠনিক সম্পাদক রাজীব চৌধুরীসহ নেতাকর্মীরা।
পানি সম্পদ উপদেষ্টা সম্প্রতি জানান, ১২ হাজার কোটি টাকা ব্যয়ে ১০ বছর মেয়াদি তিস্তা প্রকল্পের প্রথম পর্যায় বাস্তবায়নে ব্যয় হবে ৯ হাজার ১৫০ কোটি টাকা। এর মধ্যে চীনের কাছে ঋণ চাওয়া হয়েছে ৬ হাজার ৭শ’ কোটি টাকা এবং বাকি ২ হাজার ৪১৫ কোটি টাকা আসবে সরকারি কোষাগার থেকে।


