নর্থ সাউথ বিশ্ববিদ্যালয়ে অপূর্ব পালের নজিরবিহীন কুরআন অবমাননার ঘটনায় দেশের সংখ্যালঘু সম্প্রদায়ের নেতৃবৃন্দের প্রতি প্রতিবাদ জানানোর আহ্বান জানিয়েছে হেফাজতে ইসলাম বাংলাদেশ। দলটির যুগ্মমহাসচিব মাওলানা আজিজুল হক ইসলামাবাদী সোমবার (৬ অক্টোবর) এক সংবাদবক্তে এই আহ্বান জানান।
বিবৃতিতে তিনি সব ধর্মাবলম্বীর ধর্মীয় অনুভূতির সুরক্ষা ও পবিত্রতা রক্ষায় সর্বোচ্চ কঠোর আইন প্রণয়নের দাবি তুলেছেন এবং এই দাবিতে সকল নাগরিকের ঐক্যবদ্ধ হওয়ার ওপর গুরুত্বারোপ করেছেন। তিনি বলেন, নর্থ সাউথে কুরআন অবমাননার প্রতিবাদে হিন্দু-বৌদ্ধ-খ্রিস্টান নির্বিশেষে সকল সম্প্রদায়ের নেতাদের সামনে এগিয়ে এসে ঐক্যবদ্ধভাবে প্রতিবাদ করার আহ্বান জানাচ্ছি — এতে সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতি দৃঢ় হবে এবং ধর্মীয় অনুভূতির আইনি সুরক্ষা সহজে নিশ্চিত করা সম্ভব হবে।
আজিজুল হক বলেন, দেশে সাম্প্রদায়িকতা ও ধর্ম অবমাননা রোধে বর্তমানে কঠোর আইন নেই, ফলে এসব ঘটনার পুনরাবৃত্তি বাড়ছে এবং প্রায়ই কোনো বিচার হচ্ছে না। তিনি বলেন, “ধর্ম অবমাননাকারীরা সংখ্যাগরিষ্ঠ বা সংখ্যালঘু—সবাইকে শ্রদ্ধাশীল আচরণ বজায় রাখতে হবে। সর্বোচ্চ কঠোর আইন পাস হলে মুসলিম, হিন্দু, বৌদ্ধ ও খ্রিস্টান সকল ধর্মাবলম্বীর ধর্মীয় অনুভূতি আইনি সুরক্ষিত হবে।”
বিবৃতিতে হেফাজতের নেতা আরও অভিযোগ করেন, কিছু ‘ইন্ডিয়াপন্থি বাম সেক্যুলার’ গোষ্ঠী স্থায়ী সমাধান চাই না; তারা সমস্যা জিইয়ে রেখে আলেম-ওলামাদের বিরুদ্ধে সংখ্যালঘুদের ‘ভিকটিম কার্ড’ সাজিয়ে রাজনৈতিক উদ্দেশ্য হাসিলের চেষ্টা চালায়। এই চ্যালেঞ্জ মোকাবিলায় তিনি ঐক্যবদ্ধ আন্দোলনের আহ্বান জানান।
নর্থ সাউথ বিশ্ববিদ্যালয়ের কর্তৃপক্ষের উদ্দেশ্যে আজিজুল হক বলেন, বিশ্ববিদ্যালয়ে মুসলিম শিক্ষার্থীদের ধর্ম পালনের স্বাধীনতায় হস্তক্ষেপের অভিযোগ রয়েছে; সেক্ষেত্রে কর্তৃপক্ষকে প্রতিষ্ঠানভিত্তিক ইসলামবিদ্বেষ দূর করতে দৃশ্যমান ও কার্যকর পদক্ষেপ নিতে হবে। নাহলে কুরআন অবমাননার ঘটনায় প্রতিষ্ঠানটির বিদ্যমান প্রশাসনকে ছাড় দেওয়া হবে না—এমন বার্তাও দেন তিনি।
হেফাজতের এই আহ্বান ও দাবিগুলো সামাজিক ও রাজনৈতিক গুরুত্ব বহন করছে—বিশেষত যখন সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতি ও ধর্মীয় অনুভূতির সুরক্ষা দেশের সামনে সংবেদনশীল ইস্যু হয়ে দাঁড়িয়েছে।
সূত্র: হেফাজতে ইসলাম বাংলাদেশের সংবাদবক্তব্য।


