চলতি বছর পদার্থবিজ্ঞানে নোবেল পুরস্কার পেয়েছেন তিন মার্কিন বিজ্ঞানী — জন ক্লার্ক, মিশেল দেভোরেট ও জন মার্টিনিস। ম্যাক্রোস্কোপিক কোয়ান্টাম মেকানিক্যাল টানেলিং এবং ইলেকট্রিক সার্কিটে এনার্জি কোয়ান্টাইজেশন গবেষণার জন্য তাদের এই স্বীকৃতি দেওয়া হয়েছে।
মঙ্গলবার (৭ অক্টোবর) রয়্যাল সুইডিশ একাডেমি অব সায়েন্সেস এই তিন বিজ্ঞানীর নাম ঘোষণা করে। একাডেমি জানায়, তাদের গবেষণা কোয়ান্টাম পদার্থবিদ্যার এক নতুন দিগন্ত উন্মোচন করেছে।
কোয়ান্টাম মেকানিক্স সাধারণত ক্ষুদ্রাতীত কণার আচরণ ব্যাখ্যা করে, তবে এই গবেষণা দেখিয়েছে, সেই অদ্ভুত আচরণ বড় আকারের বস্তু বা মানবসৃষ্ট যন্ত্রেও প্রযোজ্য হতে পারে।
তিন বিজ্ঞানী এমন এক অতিপরিবাহী বৈদ্যুতিক ব্যবস্থা তৈরি করেন, যা এক অবস্থা থেকে সরাসরি অন্য অবস্থায় ‘টানেল’ করতে পারে — যেন কোনো বস্তু দেয়াল ভেদ করে চলে যাচ্ছে। তারা আরও প্রমাণ করেন, এই ব্যবস্থা নির্দিষ্ট মাত্রায় শক্তি শোষণ ও বিকিরণ করে, যা কোয়ান্টাম মেকানিক্সের ভবিষ্যদ্বাণীর সঙ্গে মিলে যায়।
১ কোটি ১০ লাখ সুইডিশ ক্রোনার অর্থমূল্যের এই পুরস্কার সমানভাবে ভাগ করে নেবেন তিন পদার্থবিজ্ঞানী।
গত বছর পদার্থবিজ্ঞানে নোবেল পেয়েছিলেন ‘মেশিন লার্নিং’-এর পথিকৃত জন জে হপফিল্ড ও জেওফ্রে ই হিন্টন।
চলতি বছরের নোবেল মৌসুম সোমবার চিকিৎসা বিভাগ দিয়ে শুরু হয়েছে। বুধবার ঘোষণা হবে রসায়নের নোবেল, বৃহস্পতিবার সাহিত্যের, শুক্রবার শান্তির, আর ১৩ অক্টোবর অর্থনীতির নোবেল বিজয়ীদের নাম প্রকাশ করা হবে।
১০ ডিসেম্বর, আলফ্রেড নোবেলের মৃত্যুবার্ষিকীতে, সুইডেনের স্টকহোমে আনুষ্ঠানিকভাবে বিজয়ীদের হাতে নোবেল পুরস্কার তুলে দেওয়া হবে।


