বহুল আলোচিত বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ড (বিসিবি) নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়েছে সোমবার রাজধানীর সোনারগাঁও হোটেলে। এই নির্বাচনে তিনটি ক্যাটাগরি থেকে ২৩ জন পরিচালক নির্বাচিত হয়েছেন কাউন্সিলদের ভোটে। বাকি দুই পরিচালক চূড়ান্ত হয় জাতীয় ক্রীড়া পরিষদ (এনএসসি)’র কোটায়।
এবার এনএসসি কোটা থেকে বিসিবি পরিচালকের দায়িত্ব পেয়েছেন ক্রীড়াঙ্গনের জন্য অপ্রচলিত দুই ব্যক্তি—এম ইসফাক আহসান এবং ইয়াসির মোহাম্মদ ফয়সাল আশিক। তারা যথাক্রমে আহসান গ্রুপ ও চৈতী গ্রুপের ব্যবস্থাপনা পরিচালক।
আগে জাতীয় ক্রীড়া পরিষদ থেকে পরিচালক নির্বাচিত হতেন মূলত সাবেক ক্রীড়াবিদ ও ক্রীড়া সংগঠকরা। এরই ধারাবাহিকতায় এ অঞ্চলের সাবেক পরিচালকরা হয়ে ওঠেছেন বিসিবি সভাপতি। এবারও এনএসসি থেকে কাউন্সিলর করা হয়েছিল সাবেক জাতীয় ক্রিকেটার সেলিম শাহেদ এবং নারী ক্রিকেটার ও বর্তমান আম্পায়ার সাথিরা জাকির জেসিকে। কিন্তু সবাইকে অবাক করে এবার নির্বাচিত হলেন ক্রীড়াঙ্গনের সঙ্গে অপ্রচলিত দুই ব্যক্তি।
এনএসসি থেকে এমন নির্বাচনের ফলে সমালোচনা ছড়িয়ে পড়েছে। বিশেষ করে এম ইসফাক হোসেন—যিনি কেন্দ্রীয় যুবলীগের সদস্য এবং চাঁদপুরের মতলব থেকে আওয়ামী লীগের মনোনয়ন চেয়েছিলেন—কে নিয়েই সমালোচনা তীব্র। ২০২৪ সালের জাতীয় সংসদ নির্বাচনে তিনি স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসেবে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করেছিলেন।
সূত্র জানায়, মোটা অর্থের বিনিময়ে ইসফাক আহসানকে পরিচালক করা হয়েছে বলে অভিযোগ উঠেছে, যেখানে যুব ক্রীড়া উপদেষ্টা আসিফ মাহমুদ সজীব ভূঁইয়া-এরও নাম জড়িত। এছাড়া ইয়াসির মোহাম্মদ ফয়সাল আশিককেও এনএসসি থেকে পরিচালক পদে আনা হয়েছে অর্থনৈতিক লেনদেনের মাধ্যমে।
এবারের নির্বাচন প্রক্রিয়া এবং অপ্রচলিত দুই পরিচালকের নির্বাচনের খবর ক্রীড়াঙ্গন ও রাজনৈতিক মহলে সমালোচনার ঝড় তুলেছে।


